জামিন হয়নি শহিদুলের
তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় গ্রেপ্তার বিশিষ্ট আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছে ঢাকা মহানগর দায়রা আদালত।
মঙ্গলবার ওই আদালতের বিচারক একেএম ইমরুল কায়েস এ সংক্রান্তে একটি ফৌজদারি বিবিধ মামলার শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
এর আগে গত ৬ আগস্ট শহিদুলের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে সিএমএম আদালত। এরপর গত ১২ আগস্ট রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ৬ আগস্ট সিএমএম আদালতে জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করা আদেশের বিরুদ্ধে ১৪ আগস্ট দায়রা আদালতে এই জামিনের আবেদন করা হয়।
তবে এই আবেদন নিষ্পত্তির আগেই হাইকার্টে শহিদুল আলমের জামিন আবেদন করা হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার বিচারপতি রেজাউল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চ নিম্ন আদালতকে একদিনের মধ্যে জামিনের আবেদন নিষ্পত্তির আদেশ দেন।
মঙ্গলবার দায়রা আদালতে শহিদুলের পক্ষে জামিন শুনানি করেন তার আইনজীবী এহেসানুল হক সমাজী, ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়–য়া, সারাহ হোসেন, রিপন কুমার বড়–য়া প্রমুখ।
শুনানিতে তারা বলেন, শহিদুল আলমকে তথ্য-প্রযুক্তি আইনের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তথ্য-প্রযুক্তি আইনের মামলা দায়েরের পর আসামিকে গ্রেপ্তার করতে হবে বলে আইনে বলা আছে। কিন্তু মামলা দায়েরের আগেই পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর মামলা দায়ের করে। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সত্য নয়। আমরা যেকোনো শর্তে তার জামিন চাচ্ছি। জামিন দিলে তিনি পলাতক হবেন না।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দেন।
গত ৪ আগস্ট রাতে ধানমন্ডির বাসা থেকে ডিবি পরিচয়ে একদল লোক শহিদুলকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ করেন তার স্ত্রী রেহনুমা আহমেদ।
গত মাসে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন চলাকালে ছাত্র বিক্ষোভ নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা ড. শহিদুল আলম। ওই সাক্ষাৎকারে মিথ্যা তথ্য দিয়ে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা হয়েছে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
(ঢাকাটাইমস/১১সেপ্টেম্বর/আরজেড/জেবি)