রংপুরে বন্যায় পানিবন্দি পাঁচ ইউনিয়ন

ব্যুরো প্রধান, রংপুর
 | প্রকাশিত : ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৭:৪৮
ফাইল ছবি

রংপুরে তিস্তা নদীর আকস্মিক পানি বাড়ায় প্লাবিত হয়েছে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার আলমবিদিতর, নোহালী, কোলকোন্দ ও বড়াইবাড়িসহ পাঁচ ইউনিয়ন। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ২০গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। চরম বিপাকে পড়েছেন নারী ও শিশুরা।

দিনভর পানিবন্দি থাকলেও এখন পর্যন্ত পানিবন্দি এলাকায় সরকারি বেসরকারি কোনো সহায়তা দেয়া হয়নি।

তিস্তা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় গঙ্গাচড়া পয়েন্টে বিপদসীমার তিন সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে সোমবার রাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষদের নীরাপদে সরে যেতে মাইকিং করেছিলেন গঙ্গাচড়া উপজেলা প্রশাসন।

গঙ্গাচড়া উপজেলার নোহালী, কচুয়া, চড় ইছলি, জয়রাম ওঝা, কোলকোন্দ ইউনিয়নের কোলকোন্দ, লক্ষ্মীটারীসহ বিভিন্ন এলাকার বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকে পড়ায় অনেক পরিবার বাড়ি-ঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছেন।

অনেক এলাকায় দেখা দিয়েছে ভাঙন। এদিকে আতঙ্কে বাড়ি-ঘর ছেড়ে গবাদি পশু নিয়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিচ্ছেন মানুষ।

রহিমা নামের পানিবন্দি এক নারী বলেন, এতো কষ্ট করে সংসার করি, সেই সংসার আমার ভাসি যাইবার লাগছে। খাওয়া নাই, পানিতে দাঁড়াইয়া আছি বাচ্ছা কাচ্ছা নিয়ে। গরু, ছাগল সব আমার ভাসি গেছে।

একই কথা জানালেন আব্বাস নামের আরেক বাসিন্দা। তিনি জানান, মানুষের যেমন তেমন, গবাদি পশুগুলো নিয়েই বেশি সমস্যা। গরু-ছাগল পানির মধ্যে দাঁড়াইয়া আছে।

আবদুল্লাহ নামের একজন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, বাড়িতে পানি এসে আমার সর্বনাশ হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী অনেক সাহায্য দেয়। আমাদের গঙ্গাচড়াতে কি একমুঠো সাহায্য দেয়ার কোনো মানুষ নাই।

এ বিষয়ে রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রকৌশলী হারুণ অর রশিদ জানান, গত সোমবার রাতে তিস্তার পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও এখন তা বীপদসীমার নিচে রয়েছে। ধীরে ধীরে অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। এখন অনেক এলাকারই পানি সরে যেতে শুরু করেছে।

(ঢাকাটাইমস/১১সেপ্টেম্বর/আরআইআর/ওআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :