হামলার পর নিজেকে গণভবনের ক্লিনার দাবি

প্রকাশ | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৭:৪৬ | আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৮:১৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

রমনা পার্কে সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় আটক হওয়ার পর নাজির হোসেন নামের এক ব্যক্তি নিজেকে গণভবনের ক্লিনার পরিচয় দিয়ে উল্টো হুমকি দিয়েছেন থানায়।

আজ বুধবার সকালে রাজধানীর রমনা পার্কে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সহ-সভাপতি ও সারাবাংলা ডটনেটের বিশেষ প্রতিনিধি আজমল হক হেলালের ওপর হামলা হয়। তিনি রমনা মডেল থানায় মামলা করতে গেলে হামলাকারী নাজির ওই পরিচয় দেন।

হামলার ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে সাংবাদিক হেলাল ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘সকাল ১০টার দিকে আমি রমনা পার্কে বসে ছিলাম। এ সময় নাজির একটা দা নিয়ে আমার ওপর চড়াও হয়। হামলায় তার সঙ্গে আরও পাঁচ যুবক অংশ নেয়। এ সময় আমি দৌড়ে সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। পরে হাসান নামের একজন আনসার সদস্য আমাকে উদ্ধার করেন এবং নাজিরকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।’

রমনা পার্কে জুয়া, ছিনতাই, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধ নিয়ে তিনি বেশ কয়েকবার প্রতিবেদন করেছেন জানিয়ে হেলাল বলেন, ‘সম্প্রতি র‌্যাবসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে এগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। হয়তো এ-সংক্রান্ত কোনো ব্যাপারে নাজির আমার ওপর হামলা করতে পারে। সে নিজের পরিচয় দিচ্ছে গণভবনের ক্লিনার হিসেবে। যদিও তা-ই হয়, তাহলে তার বাইরে এসে এসব করার কথা না।’

গণভবনের ক্লিনার হিসেবে নাজিরের পরিচয় পাওয়া সম্পর্কে সাংবাদিক হেলাল বলেন, ‘হামলার ঘটনায় আমি সিনিয়র সহকর্মীদের নিয়ে থানায় মামলা করতে যাই। তখন নাজির গণভবনের ক্লিনার পরিচয়পত্র বের করে আমাদের হুমকি দেন। বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীর রুম ক্লিন করি, আমার সেই অনুমতি আছে। আমাকে আটক করে রাখতে পারবেন না।’

হেলাল জানান, তিনি আটক নাজিরের ক্লিনার পরিচয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে যোগাযোগ করেছিলেন, কিন্তু কেউ বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি।

মামলা সম্পর্কে রমনা মডেল থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. এনামুল ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘একজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ছয়জনের নামে মামলা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি আটক আছে।’

আটক নাজিরের পরিচয় ও তার কাগজপত্র পরীক্ষা করা হচ্ছে জানিয়ে এনামুল বলেন, ‘এখনো তার কাছ থেকে বিস্তারিত জানা যায়নি। তবে সিটি করপোরেশনে সরকারিভাবে নিয়োগের বাইরেও অনেকে কাজ করেন। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’

মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে রমনা মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাঈনুল ইসলাম ঢাকাটাইমসকে বলেন, তাকে (নাজির)জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।

(ঢাকাটাইমস/১২সেপ্টেম্বর/এসএস/মোআ)