সুষ্ঠু ভোটে ইসিকে সহযোগিতা করবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২১:০২ | আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৮:৩৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে যেসব সহযোগিতার দরকার তা সরকার করবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার জাতীয় সংসদে তার জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য মো. মনিরুল ইসলামের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন তাদের অর্পিত সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের সব কার্যক্রম গ্রহণ করবে বলে সরকার প্রত্যাশা করে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে পারে। নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থাপনায় দেশের জনগণ সুষ্ঠুভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। সুষ্ঠুভাবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনের চাহিদা অনুসারে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করার জন্য জনবলের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য কমিশনের চাহিদা অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি সংবিধানের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলসমূহের সঙ্গে আলোচনাক্রমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের লক্ষ্যে ছয় সদস্য বিশিষ্ট একটি সার্চ কমিটি গঠন করেছিলেন। সার্চ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং চারজন নির্বাচন কমিশনারের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন।

উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যাওয়াই লক্ষ্য

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন, বাংলাদেশ একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উদার গণতান্ত্রিক এবং ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ এবং রাষ্ট্র ও সমাজের প্রতিটি স্তরে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত এবং গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রুপ লাভ করবে, যেখানে গণমানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে।
সরকারি দলের সদস্য মমতাজ বেগমের এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, বাংলাদেশ ২০১৫ সালেই স্বল্প আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উঠে এসেছে। এতেই প্রতীয়মান হয় যে, দেশ ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।

আগামী তিন বছরের মধ্যেই দেশ থেকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য দূর হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ কেমন হবে সে জন্যই দীর্ঘমেয়াদি পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ এখনই শুরু হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে আগামী ২৩ বছরের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করা এবং ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশ হবে শান্তিপূর্ণ, উন্নত-সমৃদ্ধ, সুখী একটি দেশ।

শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার আঞ্চলিক দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা সম্প্রসারিত করেছে এবং অন্যান্য বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে ব্যবসা, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে সম্পর্ক উন্নয়নকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে।

তিনি বলেন, ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করা হবে।
তিনি বলেন, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমে ৭ দশমিক ৪ ভাগ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয়েছে যা ২০২০ সাল নাগাদ ৮ ভাগে উন্নীত হবে এবং দারিদ্রের হার বর্তমান ২২ শতাংশ থেকে ১৮ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে আসবে।

ডেল্টা প্লান-২১০০ বাস্তবায়ন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষি, মৎস্য, শিল্প কারখানা, বন, পানি ব্যবস্থাপনা, জনস্বাস্থ্য এবং পরিবেশের ক্ষেত্রে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/১২সেপ্টেম্বর/জেবি)