‘সুপার স্পেশালাইজড’ হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন প্রধানমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৫:১৪ | প্রকাশিত : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১০:৪৫

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া সেন্টার অব এক্সিলেন্স প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার পর এসব প্রকল্পের উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। আগামী ২০২১ সালে ১৩তলা বিশিষ্ট এই হাসপাতালের উদ্বোধন হওয়ার কথা রয়েছে, যেখানে এক ছাদের নিচেই সবধরনের স্বাস্থ্য সেবা মিলবে বলে বলা হচ্ছে।

বিএসএমএমইউর উত্তর পাশে ৩ দশমিক ৪ একর জায়গায় এক হাজার ৩৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে অত্যাধুনিক বিশেষায়িত (সুপার স্পেশালাইজড) হাসপাতালটি। নির্মাণ ব্যয়ের মধ্যে এক হাজার ৪৭ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে দিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। মাত্র শূন্য দশমিক শূন্য এক শতাংশ সুদে ৪০ বছরে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে, যার মধ্যে গ্রেস পিরিয়ড থাকবে ১৫ বছর।

প্রকল্পের আওতায় প্রথম ফেজে দুটি বেজমেন্টসহ ১১তলা হাসপাতাল ভবন নির্মাণ করা হবে। বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে পরবর্তী দুই তলা উর্ধমুখী সম্প্রসারণ করা হবে। ১৩ তলা হাসপাতাল ভবনটিতে থাকবে এক হাজার শয্যা। দেশের প্রথম সেন্টার বেইজড চিকিৎসা সেবা চালু হবে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালটিতে। বর্তমানে সিঙ্গাপুর, কোরিয়াসহ বিশ্বের অধিকাংশ উন্নত দেশে সেন্টার বেইজড চিকিৎসা সেবা পদ্ধতি চালু আছে।

গতকাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া জানান, নবনির্মিত হাসপাতাল ভবনের প্রথম ফেজে থাকবে স্পেশালাইজড অটিজম সেন্টারসহ ম্যাটারনাল এ্যান্ড চাইল্ড হেলথ কেয়ার সেন্টার, ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল কেয়ার সেন্টার, হেপাটোবিলিয়ারি ও গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি সেন্টার, কার্ডিও ও সেরিব্রো ভাসকুলার সেন্টার এবং কিডনি সেন্টার। আর দ্বিতীয় ফেজে থাকবে রেসপিরেটরি মেডিসিন সেন্টার, জেনারেল সার্জারি সেন্টার, অফথালমোলজি/ডেন্টিস্ট্রি/ডার্মাটোলজি সেন্টার, ফিজিক্যাল মেডিসিন/রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার ইত্যাদি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল হবে একটি রোগীবান্ধব সুবজ হাসপাতাল। এতে থাকবে সানকেন গার্ডেন, রুফটপ গার্ডেন ও অন্যান্য পরিবেশবান্ধব সুযোগ-সুবিধা। সুপরিসর এই হাসপাতালে বহির্বিভাগ ও ইনফো ডেস্ক থাকবে। হসপিটাল ইনফরমেশন সেন্টার চালু করার মাধ্যমে রোগী ও হাসপাতাল পরিচালনা হবে সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে।

কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের চলমান উন্নয়নের ধারায় অন্যতম উপাদান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা। শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর ১৯৯৮ সালের ৩০ এপ্রিল এই মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেন। প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক, চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আজকে এ বিশ্ববিদ্যালয় দেশের মানুষের আকাঙক্ষার জায়গায় পৌঁছেছে। বর্তমানে ১৯০৪ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালে প্রতিদিন বহির্বিভাগে ৭০০০ থেকে ৮০০০ রোগী এবং বৈকালিক স্পেশালাইজড আউটডোরে ৯০০ থেকে ১০০০ রোগী চিকিৎসাসেবা নিচ্ছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬২টি রেসিডেন্সি কোর্সসহ পোস্ট গ্রাজ্যুয়েট কোর্সের সংখ্যা ৯৫টি। বিভাগের সংখ্যা ৫৬টি। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ রোগীদের আধুনিক ও উন্নতসেবা প্রদান করায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় রোগীদের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

ঢাকাটাইমস/১৩সেপ্টেম্বর/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :