তদবির চালাতে যুক্তরাষ্ট্রে ‘লবিস্ট নিয়োগ’ বিএনপির

প্রকাশ | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৮:২৯ | আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৮:৪১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনভিত্তিক দুটি লবিং ফার্মকে নিয়োগ দিয়েছে বিএনপি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রের ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনে তদবির চালাতে লবিং ফার্ম দুটিকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজনীতি বিষয়ক ম্যাগাজিন পলিটিকো।

দেশটির জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের বরাত দিয়ে গত ১১ সেপ্টেম্বর ম্যাগাজিনটির এক প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় হোয়াইট হাউসে লবিস্ট নিয়োগের এ খবর প্রকাশ পেল।

গত মঙ্গলবার ওই ম্যাগাজিনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘আব্দুল সাত্তার নামে বিএনপির একজন’ গত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ব্লু স্টার স্ট্র্যাটেজিস’ এবং ‘রাস্কি পার্টনার্স’ এর সঙ্গে চুক্তি করেন, যাতে তারা বাংলাদেশের নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির পক্ষে ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে তদবির করে।’

এজন্য আগস্ট মাসে ব্লু স্টারকে ২০ হাজার ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। এছাড়া বছরের বাকি মাসগুলোতে ওই প্রতিষ্ঠানকে ৩৫ হাজার ডলার করে পরিশোধ করা হবে। রাস্কি পার্টনার্স ব্লু স্টারের সাব-কন্ট্রাক্ট হিসেবে কাজ করবে। এই প্রতিষ্ঠানটি আগস্টের জন্য পাবে ১০ হাজার ডলার এবং বাকি মাসগুলোর জন্য পাবে ১৫ হাজার ডলার।

ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ ছাড়াও কংগ্রেসম্যান, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংস্থা, নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ক, পাবলিক পলিসি ইনস্টিটিউটসহ যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী বিএনপির হয়ে কাজ করবে ব্লু স্টার।

পলিটিকোর প্রতিবেদনে ব্লু স্টারের সঙ্গে চুক্তিতে বিএনপির প্রতিনিধি হিসেবে যে আব্দুল সাত্তারের নাম লেখা হয়েছে তিনি যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কেউ নন বলে জানিয়েছেন রেজাউল করিম মুরাদ নামে যুক্তরাস্ট্র বিএনপির একজন অন্যতম সংগঠক। তিনি জানান, লন্ডনে বসবাস করা আব্দুস সাত্তার একজন ব্যবসায়ী। বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তাছাড়া যুক্তরাজ্য বিএনপির কোনো কমিটিতেও নেই তিনি। দলের প্রতি ভালোবাসা থেকে তিনি এটি করেছেন।

আবদুস সাত্তার নামে বাংলাদেশে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একজন একান্ত ব্যক্তিগত সহকারী রয়েছেন। লবিস্ট নিয়োগ প্রসঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছেন আব্দুস সাত্তার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ওরা হয়তো আমার নামটি ভুল করে দিয়েছে। আমি প্রশাসনিক কিছু কাজ করে থাকি। দলীয় কোনো কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত নই। বিষয়টি আমিও জানতে পেরেছি। তবে আমার সম্পৃক্ততা থাকার বিষয়টি সঠিক নয়।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনও এ ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন। এগুলো নিয়ে ঢাকায় কোনো আলোচনা হয় না বলেও জানান তিনি।

নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ও দলের চেয়ারপারসনের মুক্তির দাবি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে যাচ্ছে বিএনপি। এর অংশ হিসাবে গতকাল জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বিশ্ব সংস্থাটির একজন সহকারী মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জাতিসংঘের রাজনীতি বিষয়ক সহকারী মহাসচিব মিরোস্লাভ জেনকার সঙ্গে বৈঠকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিরোধীদলকে দমন-পীড়নের অভিযোগ এবং দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করেন বিএনপি মহাসচিব।

ঢাকাটাইমস/১৪সেপ্টেম্বর/এমআর