উৎপাদনে ফিরল বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র

প্রকাশ | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১০:৩৩ | আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১০:৩৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

কয়লার অভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ার ৫২ দিন পর দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়ার তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ফের উৎপাদন শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে উৎপাদন শুরু হয়।

কয়লার অভাবে গত ২২ জুলাই দেশের একমাত্র কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল হাকিম সরকার বলেন, ২৭৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন তৃতীয় ইউনিটটির বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরুর লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার বিকাল পাঁচটায় স্টিম চালু করা হয়। পরে রাত আড়াইটার কিছু আগে উৎপাদন শুরুর মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে যোগ হয় বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদিত বিদ্যুৎ।

তৃতীয় এ ইউনিটটি চালু রাখতে প্রতিদিন দুই হাজার ৮০০ টন কয়লা প্রয়োজন বলে জানান তিনি। আর ৮ সেপ্টেম্বর বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে কয়লা উত্তোলন শুরুর পর প্রতিদিন দুই হাজার থেকে ২২০০ টন কয়লা খনি থেকে পাওয়া যাচ্ছে। কয়লার মজুদ বাড়লে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ও দ্বিতীয় ইউনিট দুটি চালু করা হবে। ওই দুটি ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ১২৫ মেগাওয়াট করে।

গত ১৯ জুন বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এবং খনি থেকে এক লাখ ৪৪ হাজার টন কয়লা উধাও হয়ে যাওয়ার পর সংকটে পড়ে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। দেশের একমাত্র কয়লাভিত্তিক এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ৫২৫ মেগাওয়াট।

এর মধ্যে কয়লা সংকটে গত ১৬ জুন ২৭৫ মেগাওয়াটের ইউনিটটি বন্ধ করে দেয়া হয়। কয়লা সংকটে ঝুঁকিতে পড়ে ২৫০ মেগাওয়াটের বাকি দুটি ইউনিট। এ কেন্দ্র দুটির উৎপাদন কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে, গত বছরে অক্টোবরে খনি কর্তৃপক্ষকে প্রতিদিন ৫ হাজার ২০০ মেট্রিক টন কয়লা সরবরাহ নিশ্চিত করতে বলা হয়।

পরে খনি কর্তৃপক্ষ জানায়, ইয়ার্ডে কয়লা মজুদ না থাকায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে বাধ্য হয়েই ২২ জুলাই রাতে ২৫০ মেগাওয়াটের বাকি দুটি ইউনিটও বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলে লো ভোল্টেজ সমস্যা এড়াতে ২০ আগস্ট থেকে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ২ নম্বর ইউনিটটি চালু রাখা হয়। আট দিন চালু থাকার পর তা বন্ধ করে দেয়া হয়।

তখন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল হাকিম জানিয়েছিলেন, এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বিসিএমসিএল। তারা কয়লা সরবরাহ করতে পারছিল না। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালাতে প্রতিদিন সাড়ে চার হাজার টন কয়লা প্রয়োজন হয়। কিন্তু খনিতে সাময়িকভাবে কয়লা উত্তোলন বন্ধ থাকায় এবং মজুদ ফুরিয়ে আসায় ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের তিনটি ইউনিটই বন্ধ ঘোষণা করতে বাধ্য হন তারা।

ঢাকাটাইমস/১৪সেপ্টেম্বর/এমআর