নারায়ণগঞ্জে বিএনপির বিরুদ্ধে ১২ দিনে ১৪ মামলা

প্রকাশ | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৫:০৬ | আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৫:২০

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নারায়ণগঞ্জে বিএনপি ও এর সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নামে প্রতিদিনিই দায়ের করা হচ্ছে মামলা। গত ৩০ আগস্ট থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলার সাতটি থানায় বিএনপির কয়েক হাজার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে ১৪টি।

এসব মামলায় জেলায় শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে ওয়ার্ড ইউনিয়নের নেতাদেরও আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন নেতাকর্মীরা।  গত দুই দিনে নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি থানায় পৃথক ৫টি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় প্রায় চার শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। বেশকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এর আগে গত ৩০ আগস্ট, তিন ও পাঁচ সেপ্টেম্বর রূপগঞ্জ থানায়ও মামলা দায়ের করে পুলিশ। তারও আগে সোনারগাঁও থানা পুলিশ আরেকটি মামলা দায়ের করে।

এদিকে ১০ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ও সোনারগাঁও থানা পুলিশের দায়ের করা দুটি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় ১৭৯ জন বিএনপির নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

১০ সেপ্টেম্বর সকালে রূপগঞ্জ ও সোনারগাঁও থানা পুলিশ পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুইয়া ও রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান হুমায়ুনকেও আসামি করা হয়।

এর আগের দিন রবিবার নারায়ণগঞ্জ সদর, ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একই অভিযোগে প্রায় দুই শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়।সোনারগাঁয়ে উপজেলার তালতলা মিরেরটেক ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ৪৪ জনের নামসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩০ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় সাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারি হাজী সেলিম সরকারকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ মামলায় বেশকজন জামায়াতে ইসলামীর নেতাকেও আসামি করা হয়।

একইভাবে রূপগঞ্জ থানা পুলিশের এসআই রুহুল আমিন বাদী হয়ে ৮৩ জন বিএনপি নেতাকর্মীদের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ২২ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য ও সরকার উৎখাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

সোনারগাঁ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোরশেদ আলম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী সেলিম সরকার ও সভাপতি কামরুজ্জামান মাসুম সাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে গত শনিবার রাতে নয়াপুর মাঠে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র ও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে বিস্ফোরক দ্রব্য দিয়ে হামলায় ষড়যন্ত্র করছিল। এমন সংবাদের ভিত্তিতে তালতলা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শফিকুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ওই সভা থেকে সাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সেলিম সরকারকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের উপস্থিত টের পেয়ে সভার অন্য সদস্যরা পালিয়ে যায়।

এ মামলায় সেলিম সরকার ও কামরুজ্জামান মাসুম ছাড়াও আসামিরা হলেন, মনিরুজ্জামান লিটন, কাউসার, আল আমিন হোসেন, আজিজুল ইসলাম, শাহআলম, লিটন মিয়া, শাহিনুর, জসিম, সোহেল, নাজমুল, সালাম, বিল্লাল, জামাই সেলিম, নাসির, জয়নাল মীর, রোকন মিয়া, নজরুল ইসলাম, মোস্তফা মিয়া, রিপন সিকদার, মামুন সিকদার, হাফিজুল ইসলাম, রিয়াজ মোল্লা, খোরশেদ আলম, জসিম উদ্দীন, আব্দুস সালাম, মাওলানা ইকবাল হোসেন, মাওলানা জুবায়ের, মাওলানা ইসহাক, মোমেন, শফিকুল ইসলাম, সামুসউদ্দীন, রফিকুল, ইব্রাহীম, আইন উদ্দীন, আবু বক্কর, রমজান, সুমন মোল্লা, রমজান, আবু বকর, হাফিজুল ইসলাম, নাজমুল মোল্লা ও শফিক বিহারীসহ আরও অজ্ঞাতনামা ৩০ জন।

এদিকে রূপগঞ্জ থানার মামলায় আসামি হলেন, হোসেন কমিশনার, মোজ্জামেল হক, অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান হুমায়ুন, বশির উদ্দীন বাচ্চু, ওমর ফারুক, নাসির উদ্দীন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভ্ইুয়া, সাবেক পৌর মেয়র শফিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা যুবদল সভাপতি মোশারফ হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম, সেক্রেটারি মাহাবুব রহমান, শফিকুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ, মজিবুর রহমান ভুইয়া, হামিদুল হক, কহিনুর আলম, মহিবুর রহমান, তরিকুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সাবেক সেক্রেটারি আশরাফুল হক রিপন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দীন দেওয়ান, হাফিজুল ইসলাম, আবু মোহাম্মদ মাসুম, পাপ্পু, জাকির হোসেন, তারিকুল ইসলাম, তাজুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির, বাবুল হোসেন, আয়নাল হক,  ইলিয়াস, সজল, ফারুক, কবির দেওয়ান, শহিদ ম্যানেজার, বাদশা মেম্বার, আব্দুস সামাদ, কাউসার, কাজী রাজন, আমিনুল ইসলাম ইমন, আক্তারুজ্জামান, গোলজার হোসেন, জালাল মিয়া, মিথুন, কর্নেল কামরুল হাসান, নূর মোহাম্মদ, কিরন, আকবর হোসেন, দুলাল ভুইয়া, আসাদ কমিশনার, আব্দুল মালেক, মাসকুব, কহিনুর আলম, জসিম, আমজাদ হোসেন, মুন্না, বায়েজিদ, রোকন উদ্দীন, ইয়াকুব, আনিসুর রহমান হিরণ, হিরণ মাস্টার, মাফিল উদ্দীন, শরীফ আহমেদ টুটুল, কামাল হোসেন, লিটন সরকার, দুলাল মিয়া, সুলতান, শফিকুল, ফরিদউদ্দীন,  আক্তারুজ্জামান, জসিমউদ্দীন, তোবারক হোসেন, সোহেল রাজ, হাবিব সরকার, আরফান উদ্দীন, কিরন ভুইয়া, সিরাজুল ইসলাম, আমিন, মামুন, মাসুম ও সাত্তার মিয়াসহ আরও অজ্ঞাতনামা ২২ জন।

অন্যদিকে আগের ৯ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের তিনটি থানায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমূর আলম খন্দকার, জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদসহ মোট ১৯৭ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করা হয়েছে। একই দিনে নারায়ণগঞ্জ সদর, ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় পুলিশ বাদী হয়ে পৃথক তিনটি মামলা করেছে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির ও নারায়ণগঞ্জের আলোচিত আইনজীবী মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান সহনারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির ২০ নেতাকর্মীর নাম উল্ল্যেখ করে একটি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে নাশকতার মামলা দায়ের করেছে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ। মামলায় আরও ২০ থেকে ২৫ জন অজ্ঞাতনামা আসামিসহ শনিবার শহরের চাষাড়ায় মিছিলের চেষ্টার সময় আটক ৪ জনকে আসামি দেখানো হয়েছে।

থানা পুলিশ বলছে, আসামিদের বিরুদ্ধে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র ও নাশকতার অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশ। আগের দিন শনিবার আটক ৪ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। ৮ সেপ্টেম্বর শনিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলাটি দায়ের করেন নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের পিএসআই প্রবীর কুমার রায়। আগের দিন আটক চারজন হলেন, হাসান, আফজাল হোসেন, হাবিবুর রহমান ও মফিজুল। শনিবার বিএনপির  মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয়ার পর এদের মধ্যে মফিজুলকে শহরের গলাচিপা থেকে ও হাবিবুর রহমানকে বালুর মাঠ থেকে আটক করা হয়।

মামলায় অন্য আসামিরা হলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়রসহ সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির, হাজী নূরউদ্দীন আহমেদ, জেলা বিএনপির সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাস বিশ্বাস, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান রোজেল, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, নারায়ণগঞ্জ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ খান ভাষানী, নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবুল কাউসার আশা, মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রাফিউদ্দিন রিয়াদ, মহানগর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাগফুরুল ইসলাম পাপন, সদর থানা ছাত্রদল নেতা সাইফুল ইসলাম আপন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক চৌধুরী ও মহানগর বিএনপি নেতা মনির হোসেন খান সহ অজ্ঞাত ২০ জন।

মামলায় অভিযোগ আনা হয়, আসামিরা সরকার উৎখাত ও দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে গত আট সেপ্টেম্বর শনিবার চাষাঢ়া বালুর মাঠের তিতাস গ্যাসের অফিসের সামনের নাশকতার পরিকল্পনা করে জড়ো হয়েছিল। সেখান থেকে পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছ থেকে ২টি স্কচটেপ মোড়ানো ককটেল ও ৬টি ভাঙ্গা ইটের টুকরা উদ্ধার করে।

এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৪০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরক আইনে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই আমিনুল ইসলাম-২ বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় আরও একটি মামলা করেন। মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তারা হলেন, জিয়াউদ্দিন বিজয় ও রমজান ভূঁইয়া।

অপর আসামিরা হলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াসউদ্দিন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, নুর উদ্দিন, আলী আহমেদ লালা ব্যাপারী, আলী আকবর হোসেন, নাসিক কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন, কাউন্সিলর জিএম সাদরিল, টিএইচ তোফা, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল হাই রাজু, তৈয়ব আলী, আখিল উদ্দিন ভূঁইয়া, মাজেদুল ইসলাম, মমতাজ উদ্দিন মন্তু, জুয়েল রানা, মনিরুজ্জামান রবি, মানিক, মোক্তার হোসেনসহ ২০ জনের নামে ও অজ্ঞাত আরও ২০ জন।

অপরদিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক তৈমূর আলম খন্দকার, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান রোজেল, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার মনিরুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আকরাম প্রধান, যুবদল নেতা সরকার আলমসহ ৪৭ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৭০ জনকে আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় আরেকটি মামলা দায়ের হয়েছে।

ফতুল্লা মডেল থানার এসআই মো. শফিউল আলম বাদী হয়ে ওই মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় দুই জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তারা হলেন, হাজী আবদুল কাদের ও ইসমাইল হোসেন। তাদের কাছ থেকে পাঁচটি ককটেল, ১৮ পিস লোহার রড ও ১৯টি বাঁশের লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে ৮ সেপ্টেম্বর ফতুল্লা থানার জামতলা ঈদগাহ মাঠের পশ্চিম পার্শ্বে রাস্তার ওপর নেতাকর্মীরা বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রশস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য সজ্জিত হয়ে দেশকে অস্থিতিশীল ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটানোর উদ্দেশ্যে সমবেত হয়ে নারায়ণগঞ্জে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা, পাওয়ার হাউজ, রেলপথ উড়ানো, তেলের ডিপোতে হামলার অভিযোগ আনা হয়।

ওই ঘটনাস্থল থেকেই ২ জনকে আটকের বিষয়টি উল্লেখ করা হয় মামলায়।

 (ঢাকাটাইমস/১১সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/ওআর)