লক্ষ্মীপুরে মেঘনার ভাঙন, আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ

প্রকাশ | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২০:২০

আব্বাছ হোসেন,লক্ষ্মীপুর

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চরফলকন, চর কালকিনি, চর সাহেবের হাট ও চর পাটওয়ারীর হাট এ চারটি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন মেঘনা নদীর ভাঙন চলছে। ঘর বাড়ি হারিয়ে শত শত পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধে গত এক বছরে আটবার ধস নামে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এর আগে ১৫ জুলাই ভোরে ওই বাঁধের দক্ষিণাংশের প্রায় দুইশ’ মিটারে ধস নামে। দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু না হওয়ায় বাঁধের দুই পাশের এলাকায় অব্যাহতভাবে ভাঙছে। আশপাশের এলাকায় ভাঙনের কারণে বাঁধ ধসে পড়েছে।

গত বর্ষা মৌসুমেও ওই বাঁধে পাঁচবার ধস নামে। অনিয়মের মধ্যদিয়ে নিম্নমানের কাজ করায় বারবার বাঁধে ধস নামছে বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা।

বাঁধে ধস দেখা দেয়ায় আতঙ্কে রয়েছে কমলনগর উপজেলার দুই লক্ষাধিক মানুষ। গত কয়েকদিনের তীব্র স্রোতে নদীর তীর এলাকার ঘর-বাড়ি প্রতিদিন ভেঙে পড়ছে।

লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে কমলনগর উপজেলার মাতাব্বরহাট এলাকায় এক কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণে ব্যয় হয় ৪৮ কোটি ১১ লাখ টাকা। এদিকে মেঘনার ভয়াবহ ভাঙনে গত এক বছরে গৃহহীন হয়ে পড়েছে পাঁচ হাজার পরিবার। এছাড়া কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে সরকারি-বেসরকারি বহু স্থাপনা।

তীব্র স্রোতে এক কিলোমিটার নির্মাণাধীন বাঁধের দুপাশে ব্লক সরে ধসে পড়ছে। এতে করে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়েছে কিছু এলাকায়। এছাড়া ব্লক থেকে ব্লকের দূরত্ব বাড়ায় বাঁধের বেশকিছু অংশ ফাঁকা হয়ে গেছে। ধস ঠেকাতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে জিও ব্যাগ (বালু ভর্তি বিশেষ ব্যাগ) ডাম্পিংয়ের কাজ শুরু করলে কোনভাবেই রক্ষা করা যাচ্ছে না বাঁধ। 

এলাকাবাসীর দাবি, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়ায় অনিয়মের কারণেই বারবার বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। জরুরিভিত্তিতে আরো আট কিলোমিটার কাজ রামগতি আলেকজান্ডরের মত সেনাবাহিনী দিয়ে করলেই জেলার মানচিত্র থেকে কমলনগর উপজেলা রক্ষা পাবে।

লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা মো. মুসা ভাঙনের কথা স্বীকার করে জানান, আমরা প্রকল্প অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। অনুমোদন পেলে কাজ শুরু করব।

(ঢাকাটাইমস/১৪সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)