যত্রতত্র ময়লা ফেলায় নষ্ট হচ্ছে টাঙ্গুয়ার হাওরের পরিবেশ

জাহাঙ্গীর আলম ভুঁইয়া,সুনামগঞ্জ
 | প্রকাশিত : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১০:০০

পর্যটকরা যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলায় দূষণের হুমকিতে পড়ছে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় টাঙ্গুয়ার হাওরসহ পর্যটনস্পটগুলো। হাওর থেকে শুরু করে নদী, লেক সর্বত্রই ময়লা-আবর্জনা চোখে পড়ছে। এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে তাহিরপুরের পর্যটনস্পটগুলোর শ্রী হারিয়ে হুমকির মুখে পড়বে বলে সচেতন মহল মনে করছেন।

টাঙ্গুয়ার হাওরসহ সরজমিন উপজেলার বিভিন্ন পর্যটনস্পট ঘুরে দেখা গেছে, পর্যটকদের জন্য নির্দিষ্ট কোন নিয়ম ও পরিকল্পনা না থাকায় তারা গাছের ছায়া কিংবা পর্যটক ছাউনি যেখানেই বসে নিজের সঙ্গে আনা বিভিন্ন রকমের খাবার খাচ্ছেন। পরে উচ্ছিষ্টগুলো ফেলে চলে যাচ্ছেন।

স্থানীয়রা জানায়, তাহিরপুর উপজেলায় ২০০০ সালের শুরু দিকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এই এলাকায় পর্যটক ও ভ্রমণ পিপাসুরা টাঙ্গুয়ার হাওর, সীমান্তের ট্যাকের ঘাট, চুনাপাথর লেক (শহীদ সিরাজ লেক), যাদুকাটা, বারেকটিলা, শিমুল বাগান দেখতে দল বেঁধে আসতে শুরু করেন। ফলে দিনদিন পর্যটকদের আগমন বৃদ্ধি পায় এ এলাকার পর্যটনস্পটগুলোতে। তাদের যাতায়াতে কমপক্ষে ছোট-বড় শতাধিক নৌকা চলাচল করে। পর্যটকরা খাওয়া-দাওয়াসহ সবকিছুই নৌকায়ই সারেন। আর যে যেখানে খাওয়া-দাওয়া করেন, সেখানেই উচ্ছিষ্ট ফেলে যান।

হাওরপাড়ের সাদেক আলী, জাকির হোসেন, শফিকুলসহ অনেকে জানান, এখনই এর প্রতিকার না করা গেলে একদিন দেখা যাবে- এই উপজেলার পর্যটনস্পটগুলো ময়লার বাগাড়ে পরিণত হবে।

মাঝি জানে আলম, আল আমীন, শিবলি মিয়াসহ অনেকেই বলেন, পর্যটকরা যতক্ষণ নৌকায় অবস্থান করেন- ততক্ষণ পানিতে কোন কিছু ফেলতে নিষেধ করি। তারা যখন নৌকা থেকে উপরে উঠে হাটাহাটি করেন, তখন কোন কিছু খেয়ে ময়লা-আবর্জনা যেখানে-সেখানে ফেলে যান। তখন তা আমরা দেখতে পাই না। আমাদের কিছু করার থাকে না।

তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূর্নেন্দু দেব বলেন, আমি বিষয়টি দেখে সম্প্রতি মাঝিদের নিয়ে বসেছিলাম। সবাইকে বলে দিয়েছি- নৌকাতে একটা করে ঝুড়ি রাখতে। সেই সঙ্গে নৌকায় উঠার পর পর্যটকদের বলতে- তারা যেন যত্রতত্র ময়লা না ফেলেন।

(ঢাকাটাইমস/১৫সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :