ঝড়ের লাইভে সাংবাদিকের কাঁপুনি ‘নাটক’
ঝড়ের তাণ্ডব কতটা বোঝাতে, একটি টেলিভিশন চ্যানেলের সাংবাদিক ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে ঠকঠক করে কাঁপছেন। যেন দাঁড়িয়ে থাকতে পারছেন না কিছুতেই। ঝড় তাকে দোলাচ্ছে যেন সামনে, পিছনে। অনেকটা ঘড়ির পেন্ডুলামের মতো। আর তখনই ওই সাংবাদিকের পিছন দিয়ে নিশ্চিন্তে হাঁটতে দেখা যাচ্ছে দুই পথচারীকে। কংক্রিটের রাস্তা দিয়ে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ওয়েদার চ্যানেল’-এর হারিকেন ‘ফ্লোরেন্স’ নিয়ে ওই লাইভ কভারেজ নিয়ে তুমুল হাসাহাসি শুরু হয়েছে বিশ্বজুড়ে।
সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে। ভিডিওটি টুইটারে আপলোডেড হওয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই তার ভিউয়ার সংখ্যা পৌঁছছে ১ কোটিতে। ‘লাইক’ পড়েছে তিন লাখ। আর তাতে ব্যাপকভাবে ‘ট্রোলড হয়েছে টেলিভিশন চ্যানেলটির লাইভ কভারেজ।
টুইটে অনেকেই বলেছেন, ‘এমন নাটক করার দরকারটা কী ছিল? মানুষ তো বাস্তব পরিস্থিতিটাই জানতে চান। তাতে কেন এই ভাবে রং চড়ানো হলো?’
আমেরিকার পূর্ব উপকূলের নর্থ ক্যারোলিনার উইলমিংটন থেকে হারিকেন ফ্লোরেন্স-এর ওই লাইভ কভারেজ করছিল দ্য ওয়েদার চ্যানেল। আর ক্যামেরার সামনে যিনি সাংবাদিকের ভূমিকায় ছিলেন, তিনি একজন প্রবীণ মার্কিন আবহাওয়াবিদ মাইক স্পিডেল।
প্রশ্ন উঠেছে, স্পিডেলের মতো একজন প্রবীণ আবহাওয়াবিদ কীভাবে এমন ‘নাটক’ করতে পারলেন? কোন প্রয়োজনে?
নিন্দা-সমালোচনায় সোশ্যাল মিডিয়া ভেসে যাওয়ার পর মুখ খুলেছে ওয়েদার চ্যানেল।
চ্যানেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ‘এখানে এটা মনে করিয়ে দেয়া ভালো, ক্যামেরায় স্পিডেলের পিছনে যে দুই পথচারীকে দেখা গিয়েছে, তারা কংক্রিটে বাঁধানো রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলেন। আর স্পিডেল দাঁড়িয়েছিলেন ভিজে ঘাসের ওপর। যেখানে বার বার তার পা পিছলে যাচ্ছিল। সোজা দাঁড়িয়ে থাকা কিছুতেই সম্ভব হচ্ছিল না স্পিডেলের পক্ষে। তাছাড়া দীর্ঘ ক্ষণের কভারেজের পর কিছুটা ক্লান্তও হয়ে পড়েছিলেন স্পিডেল।’
সূত্র: আনন্দবাজার
(ঢাকাটাইমস/১৫সেপ্টেম্বর/এসআই)