‘সাবিয়া হত্যাকারীদের খুঁজে বের করা হবে’

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৭:৩৪

দুই মেয়ে সারিকা (১০) এবং সাবিয়া (০৬)। এই দুই মেয়েকে নিয়ে সংসার ভাষার। বড় মেয়ে সারিকা স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির ছাত্রী এবং ছোট মেয়ে সাবিয়া প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। ভাষা মাঠে দিনমজুরের কাজ করেন। অভাবের সংসার তাই তার স্ত্রী কাজলী খাতুন থাকে ওমানে। একটু পারিবারিক স্বচ্ছলতার আশায়।

শুক্রবার সন্ধ্যায় অনান্য শিশুদের সাথে বাড়ির আঙ্গিনায় খেলা করছিল সাবিয়া। সন্ধ্যা নেমে আসে চারিদিকে। অন্য শিশুরা খেলা শেষে বাড়ি ফিরলেও তখন ফেরেনি সাবিয়া।

পরদিন শনিবার সকালে লাশ হয়ে ফেরে সাবিয়া। সারারাত বাড়ির লোকজন খোঁজাখুঁজি করে কোন সন্ধান পায়নি সাবিয়ার। সকালে বাড়ি থেকে একটু দূরে মিটন শ্মশানের পাশে খাসিমারা মাঠের একটি ধান ক্ষেতের সেচ নালা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

রবিবার বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কুষ্টিয়ার নব্য পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম তানভীর আরাফাত।

তিনি বলেন, শিশু সাবিয়াকে খুবই নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে আলামতে পাওয়া গেছে। তবে এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত এবং দোষীদের খুব শিগগির খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।

তিনি বলেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড যারা করেছে তারা যেই হোক না কেনো তাদের কোন ছাড় দেয়া হবে না।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, সন্ধ্যার পরে মিটন শ্মশানের পাশে আম বাগানে চলে মাদকের রমরমা ব্যবসা। মাদকসেবী আর মাদক বিক্রেতাদের আনা-গোনা থাকে ওই এলাকায়। এজন্য সাধারণ মানুষ ওখানে যায় না।

এলাকাবাসী আরো জানায়, এ ধরনের ঘটনা যাতে আর কোনদিন না ঘটে এজন্য হত্যাকারীদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে।

সাবিয়ার পিতা ভাষা বলেন, আমার মেয়েকে যারা এমন নির্দয়ভাবে হত্যা করেছে আমি তাদের কঠোর শাস্তি চাই। আমার বাচ্চা মেয়ে। সে কিছুই বোঝে না। তাকে হত্যা করেছে যারা তাদের দ্রুত বিচার চাই।

তিনি আরো বলেন, সারিকা ও সাবিয়ার মা বিদেশ থাকে। আমি এই দুটি মেয়েকে সব সময় চোখে চোখে রাখি। বিকালে যখন বাড়ি থেকে বাজারে যায় তখনও সাবিয়া আমার সাথে কথা বলেছিল। সে খেলা করছি অন্য শিশুদের সাথে। তারপরে আর কথা হয়নি।

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আমরা স্থানীয় রবিউল নামে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছি। আশা করছি, শিগগির আমরা দোষীদের খুঁজে বের করব।

(ঢাকাটাইমস/১৬সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :