রাজবাড়িতে আলোচিত হাজেরা হত্যা

পরকীয়া দেখে ফেলায় শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যা

রাজবাড়ী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৮:০৯

রাজবাড়ী জেলা সদরের বারবাকপুর গ্রামে আলোচিত হাজেরা বেগম (৪৮) হত্যার রহস্য উম্মোচন করেছে পুলিশ। পরকীয়া দেখে ফেলায় তার পুত্রবধূ, তার প্রেমিক ও তার সহযোগী তাকে হত্যা করে।

সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে আলোচিত হাজেরা বেগম হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি। গত ১৬আগস্টে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

এ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ওসি কামাল হোসেন ভূইয়া জানান, আটক স্বপ্নার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী অনুসারে ঘটনার দিন রাতে পুত্রবধূ স্বপ্নাকে নিয়ে একই ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন হাজেরা বেগম। সেদিন রাতে স্বপ্নার পরকীয়া প্রেমিক সোহেল স্বপ্নার ঘরে প্রবেশ করেন। এসময় হাজেরা বেগম টর্চলাইট দিয়ে সোহেলকে চিনে ফেলেন। এতে সোহেল বাইরে পাহাড়ায় দাড়িয়ে থাকা তার সহেয়োগী কবিরকে ঘরের ভেতর ডেকে নেন।

এসময় কবির হাজেরা বেগমের হাতে জখম করেন। পরে কবির হাজেরা বেগমের দুই পা ও স্বপ্না দুই হাত চেপে ধরলে সোহেল হাজেরাকে গলা কেটে হত্যা করে।

এ ঘটনায় যেন স্বপ্নাকে কেউ সন্দেহ না করে তাই সোহেল স্বপ্নার দুই হাতে জখমের চিহ্ন একে দেয়। পরে সোহেল ও কবির পালিয়ে গেলে স্বপ্নার চিৎকারে ছুটে আসে এলাকাবাসী।

এ ঘটনার পর ডিবি পুলিশ সোহেলকে শনাক্ত করে খুঁজতে থাকে। প্রায় মাস খানেক পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদারীপুর জেলা থেকে সোহেলকে আটক করা হয়। পরে জেলা সদরের আহলাদীপুর এলাকা থেকে সোহেলের সহযোগী কবিরকে আটক করা হয়। এই দুইজনের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে গতকাল রবিবার স্বপ্নাকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রবাসীর স্বামীর অনুপস্থিতিতে পুত্রবধূ স্বপ্না বেগমের (২৫) ও পরকীয়া প্রেমিক সোহেল মিয়ার (৩৩) পরকীয়া চলে আসছিল। ডিবি পুলিশের গোয়েন্দা নজরদারি আর অভিযানে আটক হয় ঘটনার প্রধান আসামি জেলা সদরের কোমড়পাড়া গ্রামের হোসেন মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া (৩৩)। এরপর ধরা পড়েন সোহেলের সহযোগী আহলাদীপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে কবির হোসেন (৩২)।

তাদের দেয়া তথ্য মতে, গৃহবধূ স্বপ্নাকে গ্রেপ্তারের বের হয়ে আসে হত্যা রহস্য।

(ঢাকাটাইমস/১৭সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/ওআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :