রাজশাহীতে পদ্মার গর্জনে আতঙ্ক

ব্যুরো প্রধান, রাজশাহী
 | প্রকাশিত : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২০:৪১

রাজশাহীতে পদ্মা নদীর পানি বেড়েই চলেছে। সেই সঙ্গে বইছে তীব্র স্রোত। তুমুল গর্জন তুলে সেই

স্রোত আছড়ে পড়ছে নদীপাড়ের কোনো কোনো এলাকায়। ফলে দেখা দিচ্ছে ভাঙন। নি¤œাঞ্চলে ঢুকছে পানি। এতে জনমনে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক।

পদ্মার পানি অব্যাহতভাবে বৃদ্ধির ফলে এখন প্রতিদিনই নি¤œাঞ্চলের নতুন নতুন বসতবাড়ি প্লাবিত হচ্ছে। বিশেষ করে পদ্মা নদীর ওপারে জেলার গোদাগাড়ী ও পবা উপজেলার চরাঞ্চলে প্রায় দেড় শতাধিক বাড়িতে পানি ঢুকেছে। এছাড়া রাজশাহী নগরীর খড়বোনা এলাকায় প্রায় ৩০টি বাড়িতে পদ্মার পানি ঢুকে গেছে।

তবে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বলছে, এখনও উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো পদ্মা নদীর পানি বাড়েনি। এবার নদীর এপারে তেমন ভাঙনও দেখা দেয়নি। তবে পানি কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এপারের কিছু এলাকা ভাঙতে পারে। সেই ভাঙন মোকাবিলায় তাদের প্রস্তুতি আছে। পাউবো জানায়, পানির তোড়ে যেন শহর রক্ষা বাঁধে ভাঙন সৃষ্টি না হয় সে জন্য নগরীর টি-বাঁধ এলাকায় বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে।

সোমবার সকালে নগরীর খড়বোনা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পদ্মা পাড়ের প্রায় ৩০টি বসতবাড়িতে পানিতে ঢুকে গেছে। কিছু পরিবার তাদের ঘর-বাড়ি সরিয়ে নিয়েছে। নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে আতঙ্কে রয়েছের এলাকার বাসিন্দারা। তারা জানিয়েছেন, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে এই এলাকায় কিছু বাড়ির মধ্যে পানি ঢুকে যায়। তারপর ২৫ থেকে ৩০টি বাড়ি সরিয়ে নেয়া হয়েছে। পানি বাড়ার কারণে আবার কেউ বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র ভাড়ায় চলে গেছেন।

নদীর ওপারে জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নেও প্রায় শতাধিক বাড়িতে পানি ঢুকেছে। পবা উপজেলার চরখিদিরপুর গ্রামেরও শতাধিক বাড়ি তলিয়ে গেছে। এতে নিজেদের থাকা ও গবাদি পশু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন বাসিন্দারা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই দুই চরে প্রতিদিনই পানির পরিমাণ বাড়ছে। ভাঙছে নদীর পাড়ও। তবে পাউবো জানিয়েছে, চরাঞ্চলের বন্যা ও ভাঙন নিয়ন্ত্রণে তাদের কিছু করণীয় নেই। চরাঞ্চলকে তারা বন্যা চলে যাওয়ার ‘পথ’ হিসেবেই দেখেন।

এদিকে রাজশাহী পাউবোর গেজ রিডার এনামুল হক জানান, এখন প্রতিদিন গড়ে ৩ থেকে ৪ সেন্টিমিটার করে পদ্মা নদীর পানি বাড়ছে। সোমবার বিকাল ৩টায় রাজশাহী নগরীর বড়কুঠি পয়েন্টে পদ্মার নদীর পানি ১৭ দশমিক ৩৪ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছিল। এর আগে ভোর ৬টায় ছিল ১৭ দশমিক ৩৩ মিটার। আগের দিন রবিবার পানি প্রবাহিত হয়েছে ১৭ দশমিক ৩০ মিটারে। রাজশাহীতে পদ্মার পানির বিপদসীমা ১৮ দশমিক ৫০ মিটার।

পাউবোর রাজশাহীর নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেসুর রহমান বলেন, নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। গত বছর পানির উচ্চতা হয়েছিল ১৭ দশমিক ৫৪ মিটার। তখনও খুব বেশি ক্ষতি হয়নি। এবার এখনও সেই উচ্চতায় পানি পৌঁছেনি। তবে নদীর পানি যদি বিপদসীমা অতিক্রম করে তাহলেও বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাদের প্রস্তুতি আছে।

ঢাকাটাইমস/১৭সেপ্টেম্বর/আরআর/ইএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :