কোটা সংস্কার

দ্রুত প্রজ্ঞাপন না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

প্রকাশ | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৫:৩১

ঢাবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাসহ সব কোটা বাতিল করতে যে সুপারিশ উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কমিটি জমা দিয়েছে সেটিতে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করা শিক্ষার্থীরা। তবে দ্রুত তারা এই সুপারিশের বাস্তবায়ন চান।

সুপারিশ বাস্তবায়নে দেরি হলে দেশের সকল ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে আবারও রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার বিক্ষোভ মিছিলের পর আয়োজিত সমাবেশ থেকে এই হুঁশিয়ারি দেন কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করা বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক নুরুল হক নূর।

সমাবেশের আগে মিছিল নিয়ে আন্দোলনকারীরা কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপনের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলে প্রায় তিন শতাধিক ছাত্রছাত্রী অংশ নেন।

আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর বলেন, আমরা প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরির জন্য আন্দোলন করিনি। আমরা সকল শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথার যৌক্তিক সংস্কারের জন্য আন্দোলন করেছি।

কোটা সংস্কার করতে হলে আমাদের পাঁচ দফার আলোকে করতে হবে। এসময় তিনি সরকারের প্রতি ফাইনাল প্রজ্ঞাপন দেয়ার সময় তাদের পাঁচ দফার আলোকে প্রজ্ঞাপন দেয়ার অনুরোধ জানান। 

নুর বলেন, ‘ছাত্র সমাজকে আর হতাশ করবেন না। অতি দ্রুত প্রজ্ঞাপন দিন নইলে আমরা দেশের সকল ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে আবারও রাজপথে নামব।’

বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব কর্তৃক যে সুপারিশ করা হয়েছে আমরা এটিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। পাশাপাশি তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণির চাকরিতে যে কোটা প্রথা রয়েছে তার যৌক্তিক এবং সহনীয় সংস্কার চাচ্ছি।

তিনি বলেন, কোটা না রাখার যে সুপারিশ করা হয়েছে তাতে আমাদের আপত্তি নেই। তবে সেটার বাস্তবায়ন করতে হবে। ছাত্র সমাজের বিরুদ্ধে যে হয়রানিমূলক মামলা করা হয়েছে প্রজ্ঞাপনের আগেই সেগুলো প্রত্যাহার করে নিতে হবে। ছাত্রদের জন্য নিরাপদ ক্যম্পাসের ব্যবস্থা করতে হবে। এসময় কর্মসূচি পালন করতে যেয়ে তারা বাধার সম্মুখীন হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন।

বিক্ষোভে এসে আন্দোলনকারীরা ছাত্রলীগের বাধার সম্মুখীন হয়েছেন বলে জানান মামুন। বলেন, ‘আমরা আজকে ক্যাম্পাসে এসে ছাত্রলীগের বাধার সম্মুখীন হয়েছি। আমরা এটা কখনও চাই না, আমরা সহাবস্থান চাই। আমরা চাই ক্যাম্পাসে প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রী নিরাপদে চলাচল করুক।’

ঢাকাটাইমস/১৮সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/এমআর