রাজশাহীতে পাঁচ নারী ছিনতাইকারী আটক

ব্যুরো প্রধান, রাজশাহী
 | প্রকাশিত : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২১:০০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক গ্রামের পাঁচ নারী রাজশাহী এসেছিলেন ছিনতাই করতে। মঙ্গলবার ছিনতাইয়ের সময় তারা হাতে-নাতে ধরা পড়েছেন। তাদের নামে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, বিভিন্ন থানায় তাদের নামে ছিনতাইয়ের আরও একাধিক মামলা রয়েছে।

এই পাঁচ নারীর নামে অস্ত্রের মুখে ছিনতাইয়ের চেষ্টার অভিযোগে নগরীর রাজপাড়া থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলার বাদী হচ্ছেন রাজশাহী মহিলা কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রধান অধ্যাপক রায়হানা আক্তার জাহান। তার বাড়ি নগরীর মহিষবাথান এলাকায়।

ছিনতাইকারী হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর থানার ধরমন্ডল গ্রামের কোকন মিয়ার স্ত্রী সোলেমা খাতুন (২৫), নাসির মিয়ার স্ত্রী লাভলী আক্তার (২২), মনির মিয়ার স্ত্রী রিনা খাতুন (২০), এহিয়ার স্ত্রী রিফুজা খাতুন (২০) ও কামরুল ইসলামের স্ত্রী শামসুন্নাহার বেগম (২৬)।

মামলার এজাহারে রায়হানা আক্তার জাহান বলেছেন, তিনি প্রতিদিনের মতো নিজের কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার সময় নগরীর হড়গ্রাম বাজারের দিগন্তপ্রসারী ক্লাবের মোড়ে আসেন। সেখান থেকে তিনি একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় ওঠেন। রিকশার নম্বর রাসিক-খ-৭৩১১। তাকে রিকশায় উঠতে দেখে সেখানে অপেক্ষমান আরও পাঁচজন নারী যাত্রী রিকশায় ওঠেন। তখন তিনি এত যাত্রীর সঙ্গে যেতে আপত্তি করেন। তিনি সাধারণত একাই একটি রিকশা নিয়ে যান। তাকে আপত্তি করতে দেখে ওই নারীরা কেউ তাকে আন্টি কেউ তাকে দাদী সম্বোধন করে বলতে থাকেন, ‘চলেন এইটুকু রাস্তা একসঙ্গেই যাই।’ তারপর তিনি সম্মত হন।

রিকশাটি ক্লাবের মোড় থেকে প্রায় ১০০ গজ দক্ষিণে উকিলবারের মেইন গেটের সামনে যেতেই এই পাঁচ নারীর মধ্যে তার পাশে বসা একজন নারী তার পিঠের দিকে হাত দেন। তিনি প্রথমে মনে করেছেন চাপাচাপি করে বসার কারণে এমনটি হচ্ছে। পরপর তিনবার হাত দেওয়ার পরে তিনি বুঝতে পারেন এই নারীটি তার গলার চেইন খুলে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ছিনতাইকারী বলে চিৎকার করতে থাকেন। রিকশা থামাতে বলেন।

এ সময় তিনি মেয়েটির হাতের ওপর ছাতা দিয়ে আঘাত করতে থাকেন। এরই মধ্যে পাঁচ নারী তাকে চারিদিক থেকে ঘিরে ধরে বলেন, কাকে কী বলছেন, তারা এই ধরনের মানুষ না। চিৎকার করার সময় তাদের একজন তার গলা চেপে ধরেন। একজন চাকু বের করেন। রিকশা থামার সঙ্গে সঙ্গে তারা নেমে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু সেখানে টহল পুলিশ ছিল তারা চারিদিক থেকে ঘিরে ধরেন।

এ সময় ওই নারীরা বলেন, তারা কেউ কাউকে চেনে না। তখন তিনি প্রতিবাদ করে বলেছেন, তারা একই সঙ্গের মানুষ। একই সঙ্গে রিকশায় উঠেছেন। এ সময় তাদের দেখে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নারী কাউন্সিলর ফেরদৌসী বলেন, কিছুক্ষণ আগে তিনি এই পাঁচজনের সঙ্গে সাহেব বাজার থেকে এখানে এসেছেন। তাদের আচরণ তার সন্দেহজনক বলে মনে হয়েছে। পরে পুলিশ তাদের ধরে নিয়ে যায়।

নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, এরা দুর্ধর্ষ ছিনতাইকারী। মঙ্গলবার এরা সকালেই ব্রাহ্মনবাড়িয়া থেকে রাজশাহী এসেছিলেন। রাজশাহীতে নেমেই তারা ছিনতাইয়ে নেমেছিলেন। তারা খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছেন, তাদের প্রত্যেকের নামেই বিভিন্ন থানায় ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে।

ঢাকাটাইমস/১৮সেপ্টেম্বর/আরআর/ ইএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :