নবজাতক বদল নিয়ে হইচই, কুমুদিনীর নার্স বরখাস্ত

প্রকাশ | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২১:০১ | আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২১:৩৩

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে দুই প্রসূতির দুই বাচ্চা বদলের ঘটনা নিয়ে হৈচৈ হয়েছে। এ ঘটনায় কর্তব্যরত নার্স প্রিয়া গমেজকে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার দুপুরে কুমুদিনী হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ডে এই বাচ্চা বদলের ঘটনা ঘটে।

মির্জাপুর উপজেলার বানাইল ইউনিয়নের ভাবখণ্ড গ্রামের হারুন অর রশিদের স্ত্রী আকলিমা বেগম সন্তান প্রসবের জন্য সোমবার হাসপাতালে ভর্তি হন। অন্যদিকে মঙ্গলবার দুপুরে একই ওয়ার্ডে টাঙ্গাইলের কাগমারা এলাকার বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী পারভীন বেগমও সন্তান প্রসবের জন্য ভর্তি হন। প্রসব ব্যথা উঠলে দুপুরে আকলিমা বেগম ও পারভীন বেগমকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়। প্রথমে চিকিৎসকরা আকলিমাকে সিজারিয়ানের মাধ্যমে এক পুত্র সন্তান প্রসব করান এবং নবজাতককে ওই ওয়ার্ডের কর্তব্যরত নার্স প্রিয়া গমেজ পারভীনের আত্মীয়দের কোলে তুলে দেন।

অন্যদিকে কিছুক্ষণ পর চিকিৎসক পারভীনকেও সিজারিয়ানের মাধ্যমে পুত্র সন্তান প্রসব করান। একইভাবে কর্তব্যরত অন্য এক নার্স নবজাতককে নিয়ে পারভীনের আত্মীয়দের কাছে নিয়ে বলেন- ‘এই আপনাদের নবজাতক।’ তখন পারভীনের আত্মীয়রা বলে উঠেন- ‘আমাদের বাচ্চা তো আগেই পেয়েছি।’

এর পরেই শুরু হয় হট্টগোল। কোন নবজাতক কোন প্রসূতির এ নিয়ে আকলিমা ও পারভীনের আত্মীয়দের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। হট্টগোল শুনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানেন এবং কার ডেলিভারি আগে বা পরে হয়েছে বিষয়টি নিশ্চিত হন। পরে পারভীনের জ্ঞান ফিরলে তিনি চিকিৎসক এবং তার আত্মীয়দের জানান- ‘তার ডেলিবারি আকলিমার পরে হয়েছে। ভুলবশত আকলিমার পুত্র সন্তান পারভীনের আত্মীয়দের কাছে দেয়া হয়।’

কুমুদিনী হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রদীপ কুমার রায় বলেন, বিষয়টি অপারেশন থিয়েটারে কতর্ব্যরত চিকিৎসক, নার্স ও উভয় প্রসূতির কাছ থেকে জানার পর যার যার সন্তান তার তার কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। বলেন, দায়িত্ব অবহেলার কারণে কতর্ব্যরত নার্স প্রিয়া গমেজকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৮সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)