মেয়ের জামাইকে হত্যা করতে কোটি রুপির চুক্তি

প্রকাশ | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২২:০৫ | আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২২:০৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যে ভিন্ন বর্ণের ছেলেকে বিয়ের 'অপরাধে' শুক্রবার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর সামনেই পিটিয়ে খুন করা হয় ২৩ বছরের এক প্রকৌশলীকে। নালগোন্ডা জেলার এই ঘটনায় হত্যাকারীসহ সাতজনকে বিহার থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এনডিটিভিতে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, প্রণয় পেরুমাল্লাকে খুনের জন্য এক কোটি রুপি দেয়া হয়েছিল বিহারের এই সন্ত্রাসী চক্রকে। তদন্তে এমনই জানতে পেরেছে পুলিশ। এক কোটির মধ্যে ১৮ লাখ ইতিমধ্যেই হাতে পেয়ে যায় অভিযুক্তরা। শুধু তাই নয়, অভিযুক্ত সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।

গ্রেপ্তারকৃত সাতজনের মধ্যে মূল হত্যাকারী ২০০৩ সালে গুজরাটের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হারেন পান্ডিয়া হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল। হাজতবাসের পর পরে ছাড়া পায়।

আট মাস আগে উচ্চ বর্ণের অমৃতার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল প্রণয় পেরুমাল্লার। নিম্ন বর্ণের যুবকের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে মেনে নিতে পারেনি অমৃতার পরিবার। অভিযোগ, এরপরই প্রণয়কে হত্যার ছক কষা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অমৃতার বাবা ও চাচাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্র জানায়, অমৃতার বাবা শীর্ষ আবাসন ব্যবসায়ী হওয়ায়, তার সঙ্গে তেলেঙ্গানার রাজনৈতিক দলগুলির যোগাযোগ রয়েছে। বাবার বিরুদ্ধে মেয়ের অভিযোগ, খুনি বেছে দিতে 'বাবাকে সাহায্য করেছিলেন শাসকদল টিআরএস-এর এক নেতা।'

সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া হাসপাতালের বাইরের এক সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে চেকআপের জন্য হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন প্রণয়। হাসপাতালের গেট থেকে বেরোতেই হঠাৎ প্রণয়ের মাথায় আঘাত করা হয়। হাতে চাপাতি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল এক দুষ্কৃতী। এরপর আরও কয়েকবার আঘাতের পর পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। চোখের সামনে এই ঘটনা দেখে অজ্ঞান হয়ে যান অমৃতা। এই ফুটেজের ভিত্তিতেই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

সূত্র: এই সময়

(ঢাকাটাইমস/১৮সেপ্টেম্বর/এসআই)