ইয়াবা হাতবদলে অ্যাপের বাইক ব্যবহার

প্রকাশ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৯:০৬

কাজী রফিকুল ইসলাম, ঢাকাটাইমস

চলতি বছরের শুরু থেকে ইয়াবা বিক্রির দলে নাম লিখিয়েছে রাজধানীর রায়ের বাজার এলাকার নবম শ্রেণির একজন স্কুল ছাত্র। মাদক পরিবহনের কৌশল সম্পর্কে জানা গেল তার কাছ থেকে।

‘উবার বা পাঠাও নিয়া গেলে অনেক সুবিধা। সার্জেন থামাইলেও ড্রাইভারের সাথে বুঝব। সার্জেন্টরা যাত্রীরে চেক করে না। এইডা আমগো একটা ভাল সুযোগ। কারণ সব জায়গায় থানার পুলিশ থাকে না৷ আর থাকলেও আমরা জানি। ওই রাস্তা দিয়া যাই না। ড্রাইভাররে টাকা বাড়াইয়া দিলেই অন্য রাস্তা দিয়া নিয়া যায়।’

এই বিক্রেতার তথ্যমতে, ইয়াবার ছোট চালান হাত বদল হচ্ছে খেলার মাঠ, সেলুন, কফি হাউজ বা বিলিয়ার্ড বোর্ডে। আর তুলনামূলক বড় চালান হাত বদলে তারা বেছে নিচ্ছে কবরস্থান, সিনেমা হল, শিশু পার্ক, এলাকার ক্লাবের মতো এলাকা।

আর বড় চালান পরিবহনে আবার অ্যাপভিত্তিক গাড়ি ভাড়া করে ব্যবহার করা হচ্ছে মেয়েদের।

তবে চালকরা এতে জড়িত-এমন নয়। তারা জানেও না বিষয়টা। আর এ নিয়ে একাধিক চালকের সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন, যাত্রীরা তাদের সাথে অবৈধ কিছু বহন  করছে কি না সেটা দেখার দায়িত্ব তাদের না।

রাজধানীর মিরপুর এলাকার মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী গোরস্তান, চিড়িয়াখানা, বোনাটিক্যাল গার্ডেন, গাবতলি পর্বত সিনেমা হল, মোহাম্মদপুরের রায়ের বাজার গোরস্তান, বেঁড়িবাধ মিনা বাজার সংলগ্ন এলাকা, বেড়িবাঁধ দ্বীপনগর তুরাগ নদীর ঘাট, ধানমন্ডি লেক পার্ক, শাহবাগ জাতীয় শিশু পার্ক, গুলশান লেক, হাতিরঝিল প্রকল্প এলাকাগুলোতে বর্তমানে ইয়াবা বিক্রি বেশি হচ্ছে বলে ওই বিক্রেতার সূত্রে জানা গেছে।

অ্যাপভিত্তিক মোটর সাইকেল কেন বেছে নেয়া হচ্ছে- এমন প্রশ্নে ওই কিশোর বলেন, ট্রাফিক পুলিশ মোটরসাইকেল থামিয়ে রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের প্রমাণ পেলে তা ছেড়ে দেন। আর এসব যানবাহনের কাগজপত্র আর চালকের লাইসেন্স আছে কি না, তা নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। আর পুলিশ যেহেতু এই দুটি জিনিস দেখছে, তাই বাহক থাকে দুশ্চিন্তামুক্ত।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার অতিরিক্ত উপ কমিশনার ওবায়দুর রহমান ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘রাস্তায় দায়িত্বরত পুলিশের সকল সদস্যদের যে কাউকেই তল্লাশি করার ক্ষমতা রয়েছে। তবে তল্লাশি করতে হলে ওই ব্যক্তির অনুমতি নিয়ে অন্য কোনো ব্যক্তির সামনেই তাকে তল্লাশি করতে হবে। তবে কোন অপরাধী হলে তার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হতে পারে। যাকে তল্লাশি করতে করতে হবে তিনি যদি নারী হন তাহলে তাকে নারী পুলিশ দিয়ে আর যদি পুরুষ হন তাহলে তাকে পুরুষ পুলিশ দিয়ে তল্লাশি করতে হবে। শুধু যানবহনের চালক নয় যানবহনের যাত্রীদেরও প্রয়োজন মনে করলে তল্লাশি করতে পারে পুলিশ।’

ঢাকাটাইমস/১৯সেপ্টেম্বর/কারই/ডব্লিউবি