বাজে আউটফিল্ডে দুই সেশনেই দিনের খেলা শেষ

প্রকাশ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২০:১৩

খুলনা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

খুলনায় প্রথম দিনেই বাজে আউটফিল্ডের বদনাম কুড়াতে হলো শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামকে। আউটফিল্ড এতটাই বাজে যে, প্রথম দুই সেশনের পর তৃতীয় সেশনের খেলাই হলো না। বাজে আউটফিল্ডের শিকার হচ্ছিলেন ফিল্ডিং করা দলের প্রায় প্রত্যেক খেলোয়াড়।

এর মধ্যে সৌম্য সরকার, আবু জায়েদ রাহি ও সাইফ হাসান ইনজুরিতে পড়েন। শেষ পর্যন্ত দু’দলের খেলোয়াড় ও কোচের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আম্পায়ার মাঠে খেলা বন্ধ করেন। সৌম্য সরকার, আবু জায়েদ রাহি ও সাইফ হাসানের পা ছুলে যায়।

দুই দলের সাথে থাকা কোচ সায়মন হেলমট পরে জানান, ‘ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা তাদের কাছে সবার আগে। এই মাঠে খেলা কন্টিনিউ করলে আরও খেলোয়াড় ইনজুরিতে পড়তো।’

আগামীকাল থেকে আধা ঘণ্টা আগে দিনের খেলা শুরু করে সময় কভার করা হবে বলে জানা গেছে।

জাতীয় দলের বাদ পড়া ক্রিকেটার, এইচপি টিম ও ‘এ’ দলের সমন্বয়ে গড়া ক্রিকেটারদের নিয়ে খুলনায় চারদিনের প্রস্তুতি ম্যাচের আয়োজন করেছে বিসিবি। বিসিবি লাল দল ও বিসিবি সবুজ দল নামে খেলতে নামে তারা। প্রথম দুই সেশনে ভালো অনুশীলন হলো কেবল ইমরুল কায়েসের। দিনের একমাত্র অর্ধশত রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। প্রথম দিনের খেলা শেষে ইমরুলের নেতৃত্বাধীন বিসিবি সবুজ দল ৫২ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রান সংগ্রহ করেছে।

এদিন টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বিসিবি সবুজ দলের অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি তাদের। দলীয় ২৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় তারা। ব্যাক্তিগত সাত রান করে আউট হয়ে যান সাদমান।

এরপর আরও তিনটি উইকেট পড়ে যায় স্বল্প বিরতিতে। তবে এক প্রান্ত আগলে রাখেন জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া ইমরুল কায়েস। ভালো খেলতে থাকা ইমরুল কায়েসকে ফিরিয়ে দেন তাসকিন আহমেদ। আউট হওয়ার আগে ৫৮ রান আসে তার ব্যাট থেকে। ৯৩ বলে ৫টি বাউন্ডারি ও ৩টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে এ রান করেন তিনি। তবে সপ্তম উইকেট জুটিতে আবারও দলের হাল ধরেন নুরুল হাসান সোহান ও মেহেদী হাসান। খুলনার এই দুই লোকাল বয় ৩১ রানের জুটি গড়ে অপরাজিত আছেন। এর মধ্যে সোহান ২৮ রান ও মেহেদী ১৬ রানে অপরাজিত আছেন। বিসিবি লাল দলের হয়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন পেসার আল-আমিন। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন ইফতেখার সাজ্জাদ, জুবায়ের হোসেন ও তাসকিন আহমেদ।

(ঢাকাটাইমস/১৯ সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/এসইউএল)