জামালপুরে যমুনায় তলিয়ে গেছে ফসলের মাঠ

প্রকাশ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২০:৪৫

জামালপুর প্রতিনিধি,ঢাকাটাইমস

যমুনার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ইসলামপুর উপজেলার চার ইউনিয়ন ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার দুটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

ইসলামপুর উপজেলার দেওয়ানপাড়া, ডেবরা পেইচ, পুর্ব বলিয়াদহ, পশ্চিম বলিয়াদহ, শিংভাঙ্গা, ধর্মকুড়া, চিনাডুলি, বমনা, বড়াইলপাড়া, কুলকান্দিসহ  এলাকার নিম্নাঞ্চলে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এসব এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করায় পাঠদান ব্যহত হচ্ছে। পানিবন্দি মানুষজন খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানি সংকটে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

নিম্নাঞ্চলগুলোতে বন্যার পানি প্রবেশ করায় চলতি আমন আবাদের বিস্তীর্ণ ফসলি মাঠ তলিয়ে গেছে।

ইসলামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা  সাখাওয়াত হোসেন জানান, ইসলামপুর উপজেলাতে ৯ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়েছে।

ইতোমধ্যে বন্যাকবলিত চিনাডুলি, পার্থশি, নোয়ারপাড়া ও কুলকান্দি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। ফসলহানির আশঙ্কায় হতাশ হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা। উপজেলার বাকি অঞ্চলের কৃষকদের মধ্যে বন্যা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

ডেবরাপেইচ গ্রামের কৃষক খোরশেদ আলম জানান, এক একর জমিতে আমন ধানের চাষ করেছি। পুরো ফসল এখন পানির তলে। জমি তৈরি, জালা বুনা, সেচ ও কীটনাশক ব্যবহারে ইতোমধ্যে ১৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। পানি কয়েকদিন থাকলে জালা পচে যাবে। এবার বছরের খাবার কীভাবে জুটবে খুবই দুঃশ্চিন্তায় আছি।

খোরশেদের মতো যমুনা পাড়ের কৃষক জনু শেখ, বকুল শেখ, ইমান আলী, মিয়ার মোল্লা ও ছাত্তারসহ অনেকেই ধানের আবাদ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/১৯সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)