কীভাবে শুক্রবার মাঠে নামবেন, ভেবে পাচ্ছেন না মাশরাফি

প্রকাশ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২১:৩৯ | আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২১:৪৬

দেলোয়ার হোসেন, দুবাই থেকে

সুপার ফোরের নতুন লাইনআপ সবকিছু গড়বড় করে দিয়েছে। এমনিতে প্রচণ্ড গরমে হাসফাস আবস্থা। তারপর আবার ভারতের ইচ্ছায় এসিসি হঠাৎ চাপিয়ে দিয়েছে দু:স্বপ্নের এক সিডিউল।

এশিয়া কাপের সূচি এমনিতেই অনেক টাইট। ভারতের হস্তক্ষেপে সেই সূচি আরও কঠিন হয়ে গেছে, বিশেষ করে বাংলাদেশের জন্য। বৃহস্পতিবার সকালে আফগাস্তিানের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচ খেলতে আবুধাবিতে যেতে হবে বাংলাদেশ দলকে। ম্যাচ শুরু স্থানীয় সময় সাড়ে তিনটায়।

ম্যাচ শেষ করে, পোস্ট ম্যাচে কথা বলে দুবাইতে ফিরতে ফিরতে বেজে যাবে প্রায় রাত আড়াইটা তিনটা। ম্যাচ খেলার ক্লান্তি, গভীর রাতের ভ্রমণ ক্লান্তি, ঘুম পূরণ না হওযার ক্লান্তি নিয়েই শুক্রবার আবার মাঠে নামতে হবে মাশরাফিদের। অথচ ভারত মাঠে নামবে পুরো একটা দিন বিশ্রাম নিয়ে।

দলে এমনিতেই অনেক ইনজুরির সমস্যা। সঙ্গে দম বন্ধ হওয়ার মতো কঠিন সিডিউল। যে কারণে বৃস্পতিবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিয়ম রক্ষার ম্যাচেটার চেয়ে পরের দিন ভারতের বিপক্ষে সুপার ফোরের ম্যাচটা নিয়েই বেশি চিন্তিত মাশরাফি।

তিনি বলেন,‘ ২১ তারিখে এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ, তার আগের রাতে গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচ খেলতে হবে। সুপার ফোরে প্রথম ম্যাচটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সেই ম্যাচে আমরা সবাই শারীরিকভাবে শতভাগ থাকতে না পারলে কাজটা কঠিন হয়ে যাবে।’

মাশরাফি যোগ করেন,‘ এখন সত্যি বলতে আফগানিস্তান ম্যাচ নিয়ে ভাবনা যতটুকু ছিল, সেটি এখন আর নেই। ২১ তারিখের ম্যাচের পরিকল্পনাই বেশি করতে হচ্ছে। আবার একটা আন্তর্জাতিক ম্যাচ নিয়ে চিন্তা করব না, সেটাও হয় না। সব মিলিয়ে অস্থির অবস্থায় আছি আমরা। ২১ তারিখের ম্যাচই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কালকেও খেলতে হবে। যতটুকু পারা যায়, চেষ্টা করব ম্যানেজ করতে।’

তাহলে কি আফগানিস্তানের বিপক্ষে রিলাক্স হয়ে খেলবে দল? মাশরাফির উত্তর,‘রিল্যাক্সড হওয়ার সুযোগ নেই। যারা খেলবে, দুই দলের কেউ রিল্যাক্সড হয়ত থাকবে না। কিন্তু পরিস্থিতিটা এমন করে তোলা হলো যে ব্যাখ্যা করা কঠিন।’

‘ব্যাক টু ব্যাক ম্যাচ খেলছি আমরা কখন? একটা গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচ খেলে মূল ম্যাচে যখন ঢুকছি, তখন এই গরমে আমরা ব্যাক টু ব্যাক খেলছি। আমাদের তো ২৪ জন ক্রিকেটার নেই যে কালকে মূল ১১ জনকে বিশ্রাম যদি অন্য ১১ জন খেলাব।’

ভারতের বিপক্ষে পুরো শারিরীক সামার্থ নিয়ে নামা যে অসম্ভব সেটা এভাবে বুঝিয়ে দিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক,‘২০ তারিখ ম্যাচ খেলেই ২১ তারিখ সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচ খেলা। রিকভারির সময়ই তো নেই। ধরুন যে কাল পরে ফিল্ডিং করলাম, তার পর ২১ তারিখের ম্যাচে আগে ফিল্ডিং করলাম, তাহলে মাঝে ১০ ঘণ্টাও রিকভারির সময় নেই। এটা তো সত্যি, শরীরের সঙ্গে জোর করা চলে না। এই কন্ডিশনে যতটা ঘাম ঝরে, সেটা পুষিয়ে নিতেই ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা লাগে অনেক সময়।’

‘পাকিস্তান-আফগানিস্তান এখানে অনেক খেলেছে, তার মানে নয় আমরা এখানে লড়াই করতে পারব না। এখন যেটা হচ্ছে, কালকে আমাদের সম্ভব সেরা চেষ্টা যেটা করতে হবে, যেভাবেই খেলি, ২১ তারিখের ম্যাচের জন্য যতটা ধরে রাখা যায়, যতটা ফিট থাকা যায়, এটা নিয়েও ভাবা জরুরি।’

(ঢাকাটাইমস/১৯সেপ্টেম্বর/ডিএইচ)