খালেদার বিচারে তাড়াহুড়ো কেন: বিএনপি

প্রকাশ | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৫:২৯ | আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২৩:৫৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বেগম খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বিচারের আদেশের সমালোচনা করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বলেছেন, এই আদেশ ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।  

শুক্রবার সকালে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ফখরুল। তার আগের দিন কারাগারে বসানো আদালতে খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচার চলার সিদ্ধান্ত জানান বিচারক আখতারুজ্জামান।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ের সাত দিন আগে ১ ফেব্রুয়ারি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় সব শেষ শুনানি হয়। সেদিন ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক হয়। তবে সে শুনানি আর হয়নি বিএনপি নেত্রী হাজির না হওয়ায়। এরপরের সব শুনানির দিনগুলোতেও তিনি আদালতে যাননি অসুস্থতার কথা বলেন।

এই অবস্থায় দুদকের আবেদনে ৫ সেপ্টেম্বর কারাগারেই আদালত বসে। সেদিন আদালতে এসে খালেদা জিয়া বলেন, তিনি আর আদালতে আসবেন না। এরপর ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর তিনি আদালতে আসেননি। আর যেহেতু বিএনপি নেত্রী আদালতে আসছেন না, আর এরপর দুদকের আবেদনে বিএনপি নেত্রীর অনুপস্থিতিতেই বিচার চলার আদেশ এসেছে।

ফখরুলের দাবি, আদালতের এই আদেশ ন্যায়বিচারের পরিপন্থী আর এই আদেশ তাড়াহুড়োর শামিল। বলেন, ‘খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে মামলা শেষ করার এত তাড়া কেন? আমরা বুঝতে পারি সরকার খালেদা জিয়ার মামলা দ্রুত শেষ করে তাকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু বিচার বিভাগের কেন এত তাড়া?’

‘যেসব মামলায় তার (খালেদা জিয়া) বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, সেসব মামলায় তার উপস্থিতিতে শুনানি বা বিচার কাজ পরিচালনা করা সংবিধান ও আইনসম্মত। কিন্তু খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার শুনানি চলবে বলে যে আদেশ দেয়া হয়েছে তা ন্যায়বিচার ও মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী বলে আমরা মনে করি।’

‘আদালতের এ আদেশ জনগণ মেনে নিতে পারছে না। এ আদেশ পরিবর্তন হওয়া জরুরি। আমরা আবারও দাবি জানাচ্ছি, খালেদা জিয়াকে বিশেষায়িত হাসপাতলে চিকিৎসা দেওয়া হোক।’

দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, রফিকুল ইসলাম মিয়া, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান,আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকাটাইমস/২১সেপ্টেম্বর/বিইউ/ডব্লিউবি