সরাসরি দার্জিলিং যাওয়া যাবে ট্রেনে

প্রকাশ | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৬:০১ | আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২৩:৫৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

বাংলাদেশ থেকে ভারতের দার্জিলিং পর্যন্ত সরাসরি রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রচেষ্টায় পুরাতন এই রেল রুটটি পুনঃস্থাপন হচ্ছে।

বাংলাদেশের নীলফামারীর চিলাহাটি হয়ে ভারতের কোচবিহারের হলদিবাড়ি রেইল রুট দিয়ে শিলিগুড়ি-দার্জিলিং রুটে যুক্ত হবে এই রেল রুট।

১৯৬৫ সালের আগে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রুটে ট্রেন চলাচল করত। সেসময় বর্তমান বাংলাদেশ থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেন চালু ছিল। এই রুটে ট্রেন আবার চালু করতে হলে হলদিবাড়ি রেল স্টেশন থেকে সীমান্ত পর্যন্ত তিন কিলোমিটার এবং বাংলাদেশের চিলাহাটি স্টেশন থেকে সাত কিলোমিটার রেললাইন তৈরি ও সংস্কার করতে হবে।

চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেললাইন আঞ্চলিক সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ এটি ভবিষ্যতে নেপাল ও ভুটানের সঙ্গেও যুক্ত হতে পারে।

ভারতের গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, এই রেললাইন পুনরায় চালু করতে রাজি হয়েছে দুই দেশ। ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় বাজেট অনুমোদন করেছে বাংলাদেশ সরকার। ২০১৯ সালের জুন নাগাদ এই প্রকল্প আলোর মুখ দেখতে পারে বলে ইন্ডিয়া টুডের খবরে বলা হয়েছে।

এই রেলরুট পুনরুদ্ধারের ফলে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর বাগেরহাটের মোংলা পোর্ট থেকে ভারত, নেপাল ও ভুটানে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হবে।

ঘটনাক্রমে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ভারতে পণ্য পরিবহনের জন্য মংলা ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে প্রস্তাব পাস করেছে বাংলাদেশের মন্ত্রিসভা। প্রস্তাবিত রুটটি বাংলাদেশ বন্দর থেকে সরাসরি উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে সরাসরি পণ্য পরিবহনের সময়টিকে হ্রাস করবে। প্রস্তাবিত এই রেল রুটটি চালু হলে বাংলাদেশের বন্দর থেকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে সরাসরি পণ্য পরিবহনের সময় অনেক হ্রাস করবে।

পাঁচ দশক আগে একই ট্রেনে করে বাংলাদেশ থেকে দার্জিলিংয়ে ভ্রমণ করা যেত। এই রুটটি প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সবচেয়ে ব্যস্ততম ব্যবসায়িক রুট হিসেবে ব্যবহৃত হতো। ১৯৬৫ সালে ইন্দো-পাকিস্তান যুদ্ধের কারণে অন্যান্য বেশ কিছু রুটের সঙ্গে এই গুরুত্বপূর্ণ রুটটি বন্ধ হয়ে যায়।

১৯৬৫ সালের যুদ্ধে যেসব রেল রুট বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, সেগুলো আবার চালু করার ঘোষণা আছে দুই দেশের। ঢাকা-কলকাতার পাশাপাশি খুলনা-কলকাতা রুটেও ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-আগরতলা রুটে লাইন পুনর্নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেছেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি। 

ঢাকাটাইমস/২১সেপ্টেম্বর/একে/ডব্লিউবি