রাঙ্গামাটিতে ঘুমন্ত দুই ইউপিডিএফ কর্মীকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশ | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৬:৪৮ | আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২৩:৫৪

ব্যুরো প্রধান, চট্টগ্রাম

রাঙামাটির নানিয়ারচরে পাহাড়ি সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) দুই কর্মীকে গুলি করা হয়েছে। শুক্রবার ভোররাত আনুমানিক তিনটার দিকে রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার মহালছড়ির সীমান্তবর্তী রামসুপারি পাড়া এলাকায় নিজ বাড়িতে গুলি করে হত্যা করা হয়।

রাতে একদল সশস্ত্র দুর্বৃত্ত তাদের ঘুম থেকে ডেকে এনে হত্যা করে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।  নিহত দুইজন হলেন, আকর্ষণ চাকমা (৪২) এবং শ্যামল কান্তি চাকমা সুমন্ত (৩০)।

তারা সদ্য ইউপিডিএফে যোগ দেন। দলত্যাগ করে ইউপিডিএফে যোগ দেয়ায় সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা) তাদের হত্যা করে বলে অভিযোগ করেছে  ইউপিডিএফ।

তবে এ হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা)।

নিহত আকর্ষণ চাকমা একই এলাকার যুদ্ধ মোহন চাকমার ছেলে এবং শ্যামল কান্তি চাকমা সুমন্ত আদরি পেদা চাকমার ছেলে।

আকর্ষণ ও সুমন্ত কিছুদিন আগে ইউপিডিএফে যোগ দেয়ার পর থেকে ওই এলাকায় সংগঠনটির ‘কালেক্টর’হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীল একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।  রাতে একদল সশস্ত্র দুর্বৃত্ত তাদের নিজ বাসায় গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায় বলে স্থানীয়রা জানায়।

স্থানীয়রা জানায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা) ছেড়ে ইউপিডিএফে যোগ দেওয়ায় তাদের হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।

ইউপিডিএফ এর প্রচার বিভাগের প্রধান নিরন চাকমা এই বিষয়ে এখনও কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন।

অন্যদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) সহ-তথ্য প্রচার সম্পাদক প্রশান্ত চাকমা হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আমাদের দল কোনোভাবেই জড়িত নয়। এ ঘটনা ইউপিডিএফ  ঘটিয়ে এখন দায় আমাদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে।’

এ বিষয়ে নানিয়ারচর থানার ওসি আব্দুল লতিফ জানিয়েছেন, ‘রাম সুপারি পাড়া দুই ইউপিডিএফ কর্মীকে গুলি করে হত্যার সংবাদ আমরা জেনেছি। ব্যবস্থা নিচ্ছি, বিস্তারিত পরে জানাবো।’

(ঢাকাটাইমস/২১সেপ্টেম্বর/জেজে/ওআর)