সৌম্য-ইমরুল আসছেন, জানেন না মাশরাফি!
আগের রাতে আফগানিস্তানের কাছে লজ্জাজনক হার। গতকাল ভারতের বিপক্ষে আরেকটি বড় পরাজয়। টানা দুই ম্যাচে দুই বড় হারে দলের সামর্থ ও শক্তি নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে। স্বাভাবিক কারণেই মন খারাপ ছিল মাশরাফির। গতরাতে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসলেন ক্লান্ত, বিমর্ষ মুখে। দিলেন হারের নানা ব্যাখ্যা।
শান্ত-লিটনের ব্যর্থতার কারণে বাংলাদেশ থেকে জরুরি ভিত্তিতে উড়িয়ে আনা হচ্ছে দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও ইমরুল কায়েসকে। গতকাল লিটন-শান্ত ব্যর্থ হওয়ার পর ঘন্টাখানেকের মধ্যে মিডিয়া বক্সে ছড়িয়ে পড়ে খবরটি। আজ সন্ধ্যায় দুবাইয়ে পৌঁছাচ্ছেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এ দুজন দলের সঙ্গে যোগ দিলে সামনের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে কি না দল? মাশরাফি জানালেন, তিনি আসলে ব্যাপারটা জানেনইনা। দলে দুইজন নতুন সদস্য যোগ দিচ্ছেন, অথচ অধিনায়ক জানেন না! ব্যাপারটা একজন অধিনায়কের জন্য বিব্রতকরই।
মাশরাফি উত্তর দিলেন এভাবে, ‘আমি আসলে জানি না যে তারা আসছে। আমি মাঠের মধ্যে ছিলাম...। এ কারণে আমি জানি না।’
সে যাই হোক, সৌম্য ও ইমরুল আগামী ম্যাচে ওপেন করলেই যে সফল হবেন তাও মনে করেন না মাশরাফি। পরিস্থিতি তাদের জন্যও সহজ হবে বলে মনে করেন না তিনি।
মাশরাফি বললেন, ‘ভালো না করার কারণেই তারা বাদ পড়েছেন। আমি জানি না তাদের যে টেকনিক্যাল ভুলগুলো ছিল সেটা সুধরে তারা আসছেন কি না। তারা এসেই যে ভালো ভালো কিছু করবেন, সেটা আমার মনে হয় না। এখানে এসে পরিস্থিতি মানিয়ে নেওয়া সহজ হবে বলে মনে হয় না আমার।’
তামিমের অবর্তমানে গত দুই ম্যাচে ওপেন করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১৭ বলে করেছিলেন ৭। গতকাল ৭ রান করেন এ তরুণ ব্যাটসম্যান। শোচনীয় ব্যর্থতা লিটনের ব্যাটেও। এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে কোনো রানই করতে পারেননি। পরের দুই ম্যাচে যথাক্রমে ৬ ও ৭। ওপেনিং জুটির এ ব্যর্থতাকে বড় করে দেখছেন মাশরাফি।
তিনি বলেন, পরপর দুই ম্যাচে দ্রুত উইকেট পড়ে গেছে। এর ফলে মিডল অর্ডারের উপর চাপ পড়ছে। দ্রুত উইকেট পড়ে যাবার পর দরকার ছিল দেখে শুনে এগোনো। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যেমনটা হয়েছিল। এই উইকেটে ২৫০ রান কোনো ব্যাপার না। কিন্তু আমরা পারিনি।’
ভারতের কাছে বড় হারের পরও ফাইনালের সম্ভাবনা দেখছেন মাশরাফি। বলেছেন, ‘এই ম্যাচটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিন্তু আমরা পারিনি। তারপরেও বলব, আমাদের সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়নি। পরের ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারাতে পারলে ফাইনালে ওঠার ফিফটি ফিফটি একটা সম্ভাবনা তৈরি হবে।’
(ঢাকাটাইমস/২২সেপ্টেম্বর/ডিএইচ)