ভৈরবে ১৫ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই, কোটি টাকার ক্ষতি

প্রকাশ | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৩:৩৩

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

কিশোরগঞ্জের ভৈরব বাজার নদীর পাড়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে একটি লাকড়ির মিলসহ ১৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে আনুমানিক ৬০ লাখ টাকার মালামালসহ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীদের দাবি।

গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় পৌর কাউন্সিলর মমিনুল হক রাজু লাকড়ির মিলে এই আগুন লাগে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই ঘটনায় ভৈরব বাজারে ব্যবসায়ী জহুলালের দুই হাজার মণ, জসিম মিয়ার পাঁচ হাজার মণ, জহিরুর ইসলামের দেড় হাজার মণ, আক্তার মিয়ার দেড় হাজার মণ লাকড়ি পুড়ে গেছে, যা গুদামে মজুদ ছিল। এই লাকড়ির আনুমানিক বাজারমূল্য ৩০ লাখ টাকা।

এছাড়াও মোজাম্মেল মিয়ার ১০ হাজার বস্তা, মমিনুল হক রাজুর ২০ হাজার বস্তা ভুষি, যার আনুমানিক বাজার দাম ১৮ লাখ টাকা। ছয়টি মোটর, তিনটি চালনা মেশিন, বিদ্যুতিক সরঞ্জাম পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। যার আনুমানিক দাম সাত লাখ টাকা। 

পুড়ে যাওয়া লাকড়ির মিলের মালিক ওয়ার্ড কাউন্সিলর মমিনুল হক রাজু জানান, তার লাকড়ির মিলসহ আরও ১৫ জন ব্যবসায়ীর গুদামজাত মালামাল ছিল। সব মিলিয়ে ৬০ লাখ টাকার মালামালসহ মোট এক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী জহিরুর ইসলাম বলেন, আমি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। পুড়ে যাওয়া গুদামে দেড় হাজার মণ লাকড়ি গুমামজাত অবস্থায় ছিল। আমি যে পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি তা পূরণ করা আমার পক্ষে সম্ভব না। 

ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের দাবি, মিলের বিদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। 

ভৈরব বাজার ব্যবসায়ী ও চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজের সদস্য মো. জিল্লুর রহমান জানান, রাতে হঠাৎ মিলে আগুন লেগে যায়। আমরা আগুনের ধোঁয়া দেখে পানি দিয়ে নেভানোর চেষ্টা করি। কিন্তু আগুন ধীরে ধীরে বাড়াতে থাকে। ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।

(ঢাকাটাইমস/২৩সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/জেবি)