‘ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকদের কাউন্সিল গঠন সময়ের দাবি’

প্রকাশ | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৫:৪২

গণবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

‘বাংলাদেশে ছয় মাস, এক বছর এলএমএফ কোর্স করে হোমিওপ্যাথিক, ইউনানী চিকিৎসকরাসহ অন্যরা নামে আগে ডাক্তার লিখতে পারলে এক বছর বাধ্যতামূলক ইন্টার্ণশিপসহ পাঁচ বছর একাডেমিক পড়ালেখা করে ফিজিওথেরাপিস্টরা কেন নামের আগে ডাক্তার লিখতে পারবে না? অথচ, পাঁচ বছরের একাডেমিক শিক্ষাজীবনে একজন ফিজিওথেরাপিস্টকে এনাটমি, ফিজিওলজি, কমিউনিটি মেডিসিন, ফার্মাকোলজি, বায়োকেমিস্ট্রিসহ সকল চিকিৎসা বিষয়ক বই পড়তে হয়। ফিজিওথেরাপিস্টরা স্বাস্থ্য বিভাগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। তাদের জন্য চিকিৎসক হিসেবে কাউন্সিল গঠন করা এখন সময়ের দাবি হয়ে পড়েছে।’

বলেছেন সাভারের গণবিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. দেলোয়ার হোসেন। শনিবার গণবিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিওথেরাপি বিভাগ আয়োজিত পিএইচএ অডিটোরিয়ামে নবীনবরণ ও বিদায় অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

ফিজিওথেরাপিস্ট নাসিমা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ডা. লায়লা পারভীন বানু।

বিশেষ অতিথি ছিলেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর মোর্তুজা আলী বাবু।

আরো উপস্থিত ছিলেন- ডা. রুহুল আমিন, ডা. উত্তম কুমার দাস, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. আমিনুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. হামিদুর রহমানসহ অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন- ডা. সুলতানা ফারহাত জাহান রুনু।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভিসি অধ্যাপক ডা. লায়লা পারভীন বানু বলেন, ফিজিওথেরাপিস্টরা বহুদিন প্রত্যাশা করছে একটি স্বতন্ত্র কাউন্সিল। আমি আশা করব, অতি দ্রুত কাউন্সিল যেন গঠিত হয়।

এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার মান আরো বৃদ্ধি করে যোগ্য ফিজিওথেরাপিস্ট হয়ে গড়ে উঠার আহ্বান জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর মোর্তুজা আলী বলেন, ফিজিওথেরাপিস্টরা চিকিৎসা বিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ অংশ, তোমাদের উচিৎ ব্যবহারিক বিষয়ে অধিক দক্ষতা অর্জন করা।

অনুষ্ঠানে ফিজিওথেরাপি বিভাগের নবাগত ৩৪তম ব্যাচের বরণ এবং ২৬তম ব্যাচের বিদায় অনুষ্ঠান হয়।

এসময় নবীন-প্রবীণের এক মিলনমেলা সৃষ্টি হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ফিজিওথেরাপি বিভাগের পক্ষ হতে নবীনদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়।

পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে অত্যন্ত নিপুনতার সাথে নৃত্য, গান, কবিতা, নাটক প্রদর্শন করে শিক্ষার্থীরা। অনুষ্ঠানে প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।

(ঢাকাটাইমস/২৩সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)