‘ভালো খাবার’ টেকসই করতে সুইজারল্যান্ডে ভোট

প্রকাশ | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৬:০৫ | আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৬:১১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

সুইজারল্যান্ডের নাগরিকরা ভোট প্রদান করছে। শুধু একটি না, তারা নৈতিক ও টেকসই খাবার উন্নয়নে আইন কড়াকড়ি করতে তারা দুটি ভোট দিচ্ছে বলে আন্দোলনকারীরা বলছেন।

রবিবার বিবিসি অনলাইনের এক খবরে বলা হয়, গত কয়েক বছর ধরে লাসাগনে(পাস্তা জাতীয় খাবার)-তে ঘোড়া মাংস ব্যবহার এবং পাম ওয়েল উৎপাদন ও গবাদি পশুর খাবারের জন্য রেইন ফরেস্ট(ঘনবর্ষণের বনাঞ্চল) ধ্বংসের বিরুদ্ধে এই ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর ফলে গ্রাহকদের ক্রমবর্ধমান আগ্রহে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। এটি শুধু সুইজারল্যান্ডে না পুরো ইউরোপ জুড়ে। কোথায় থেকে খাবার আসছে, কিভাবে উৎপাদন আসছে।   

দুটি ভোট কেন এবং পার্থক্য কি?

সুইজারল্যান্ডের প্রত্যক্ষ গণতান্ত্রিক পদ্ধতি হচ্ছে- কোনো রাজনৈতিক ইস্যুতে দেশব্যাপী ভোট করতে চাইলে প্রচারকারীদের এক লাখ স্বাক্ষর সংগ্রহ করতে হবে।  

প্রথম প্রস্তাব হচ্ছে, ‘ভালো খাবার’- এটি টেকসই হতে সরকারের আরো সমর্থন দরকার। প্রাণীবান্ধব পণ্য এবং এ সম্পর্কে লেবেলে বিস্তারিত তথ্য- যাতে গ্রাহকরা কি কিনছে তা জানতে পারে।

এই প্রস্তাবে খাবার অপচয় বন্ধে অভিযান আহ্বান করা হয়েছে। মাংস আমদানিতে সুইজারল্যান্ডে মান বজায় রাখা, কর্মীদের অবস্থা, পরিবেশগত নিরাপত্তা এবং প্রাণী উন্নয়নের কথা বলা হয়েছে।

এর মানে হচ্ছে, সুইস পরিদর্শকরা অভিযোগের ভিত্তিতে বিদেশে উৎপাদিত খাবার পরীক্ষা করতে পারবেন।

দ্বিতীয় প্রস্তাব হচ্ছে- ‘খাবারের সার্বভৌমত্ব’।স্থানীয় কৃষকদের ব্যাপক আকারে সহযোগিতা, বিদেশি খাবারের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ এবং সুইজারল্যান্ডের মান অনুযায়ী না হলে পণ্য নিষিদ্ধ করা।    

কৃষকরা কি বলছেন?

অনেক কৃষকই এই প্রস্তাব সমর্থন করেছে। দুধের মূল্য দিন দিন কমছে। প্রতি বছর গড়ে এক হাজার দুগ্ধজাত খামার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এদের মধ্যে অধিকাংশ ঐতিহ্যবাহী আলপাইন দুগ্ধজাত খামার।

কিলিয়ান বাউমান দুগ্ধজাত খামার বন্ধ করে এখন অর্গানিক(জৈব) মাংস উৎপাদন করছে। অথচ গত এক একশ’ বছর ধরে তার পরিবার দুধ উৎপাদনের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল। তিনি বিশ্বাস করেন, কৃষির ভবিষ্যৎ স্থানীয় পারিবারিক খামারিদের মধ্যে রয়েছে।  

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি খাদ্য শিল্পে পরিবর্তন আনা দরকার। টেকসই ও প্রাণী উন্নয়নে আমরা অনেক ভুল করেছি।’

আলরাইক মিঙ্কনার নামে একজন নারীও দুধের খামার বন্ধ করে অর্গানিক মাংস উৎপাদন করছেন।

তিনি বলছেন, ‘আমরা বাণিজ্যের বিরুদ্ধে না। এটি হচ্ছে ভালো খাবার রক্ষা এবং সুইজারল্যান্ড ও বিদেশে ভালো মান বজায় রাখা।’

অন্যান্য কৃষকরা এসব প্রস্তাবে সংশয় প্রকাশ করছে। ইতোমধ্যে সুইজারল্যান্ডে উচ্চ পর্যায়ের পরিবেশগত ও প্রাণী উন্নয়ন নিয়ে আইন আছে।

ডানপন্থি দল সুইস পিপলস পার্টি নেতা ও পার্লামেণ্টের সদস্য মার্সেল ডেটলিং। তিনি নিজেও একজন কৃষক। তিনি বলেছেন, এই প্রস্তাবে ক্ষতির আশঙ্কা বেশি।   

(ঢাকাটাইমস/২৩সেপ্টেম্বর/এসআই)