‘সিনহার মতো জাতীয় ঐক্যেরও স্বপ্ন ভাঙবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৮:৪৩ | প্রকাশিত : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৬:১৮

সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার মতো জাতীয় ঐক্যেরও স্বপ্ন ভেঙে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। বলেছেন, ‘সিনহা বই লিখেছেন, তার স্বপ্ন তো ভেঙে গেছেই। বহু আগে খালেদা-তারেকের স্বপ্নও ভেঙেছে। এভাবে জাতীয় ঐক্যের ষড়যন্ত্রের স্বপ্নও ভেঙে যাবে।’

রবিবার দুপুরে রাজধানীর সাগর-রুনি মিলানয়তনে স্বপ্ন ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ‘গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও শেখ হাসিনা’শীর্ষক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘ সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতিরা বলেছিলেন সিনহা সাহেবের অধীনে বেঞ্চে অংশ নেবেন না। এটা বিচারপতিদের কথা ছিলো। তিনি তিনবছর বিচারপতি ছিলেন কিন্তু কোনও কথা বলেন নাই সে সময়। আজকে এতদিন পর যখন এখানে রাজনীতির ষড়যন্ত্র মঞ্চস্থ করা হচ্ছে তখন তিনি বিদেশ থেকে বই লিখেছেন।’

‘তিনি বই লিখেছেন ‘দ্য ব্রোকেন ড্রিম’। তার স্বপ্ন তো ভেঙে গেছেই। বহু আগে খালেদা-তারেকের স্বপ্নও ভেঙেছে। এভাবে জাতীয় ঐক্যের ষড়যন্ত্রের স্বপ্নও ভেঙে যাবে। এটা বেশি দূরে নয়। আগামী নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের সকল স্বপ্ন ভেঙে দিয়ে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধাদের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্নের বাস্তবায়ন হবে।’

শনিবার মহানগর নাট্যমঞ্চে রাজনীতির একটা তামাশা মঞ্চস্থ হয়েছে উল্লেখ করে খালিদ বলেন, ‘আমরা অনেক আগেই বলেছিলাম বিএনপির মতো একটি দেউলিয়া দল আরেক দেউলিয়া ড. কামালের কাছে আত্মসমর্পন করে বাঁচতে চায়।’

‘দেউলিয়াদের ঐক্য জাতীয় ঐক্য হতে পারে না। এটি মূলত ষড়যন্ত্রের ঐক্য। আন্তর্জাতিক মহলে লুটের টাকা দিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তবে কোনো ষড়যন্ত্র ফলপ্রসূ হবে না। আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের নেতৃত্বে বহু আগ থেকেই জনগণের জাতীয় ঐক্য হয়েছে, সেটি এখনও আছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেবে, ইনশাল্লাহ।’

দেশে আইনের শাসন নাই- গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ও বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বক্তব্যের সমালোচনা করে খালিদ বলেন, ‘তিনি নাকি এখন জাতির বিবেক হিসেবে কথা বলছেন। কিন্তু আমরা দেখেছি ৯০ এর গণঅভ্যুথানে স্বৈরাচারে পদলেহনের জন্য তাকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। আজকে তারা নাকি গণতন্ত্রের কথা বলেন, মূলত তারা ষড়যন্ত্র করছেন।’

‘গণতন্ত্রের চর্চার নাম কি আরেকজনকে গ্রেনেড মেরে হত্যা, মানুষ খুন করার নাম কি গণতন্ত্র? এখনতো দেশে এ অবস্থা নাই।দেশে টক-শোর নামে সরকারের বিপক্ষে বিষেদঘার করা হচ্ছে, সরকারতো টেলিভিশন চ্যানেল বন্ধ করছে না। গণতন্ত্রের নামে ভোট বাক্স পুড়িয়ে দিবেন, মানুষ মারবেন, প্রিজাইডিং কর্মকর্তা হত্যা করবেন তখন তো সরকারের কিছু দায়িত্ব থাকে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীতো ব্যবস্থা নিবেই। সেই ব্যবস্থাকে যদি বলা হয়, গণতন্ত্রকে হত্যা করা। তাহলে তো দেশে আইনের শাসন থাকবে না।’

সংগঠনের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের যুগ্ম-আহ্বায়ক অসীত বরণ রায়, ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় উপ-কমিটির সদস্য আনোয়ারুল কবির।

ঢাকাটাইমস/২৩সেপ্টেম্বর/টিএ/ডিএম

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

বাংলাদেশে একদিন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবেই, তখন আ. লীগ থাকবে না: আমিনুল হক

উপজেলা নির্বাচন ঘিরে তৃণমূল আ.লীগে বাড়ছে দ্বন্দ্ব

সরকারের এমপিরা ঘোষণা দিয়ে লুটপাট শুরু করেছে: এবি পার্টি

বদরের চেতনায় লড়াই অব্যাহত রাখার আহ্বান ছাত্রশিবির সভাপতির

আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান ফখরুলের

বিএনপির ভারত বিরোধিতা মানুষের কষ্ট বাড়ানোর নতুন সংস্করণ: নাছিম

ভোট ডাকাত সরকারকে সমর্থনকারী দেশের পণ্য বর্জন ন্যায়সঙ্গত: রিজভী

১১ মামলায় আগাম জামিন পেলেন বিএনপি নেতা বকুল

বর্তমান সরকার ভারতের অনুগ্রহে ক্ষমতায় বসে আছে: সাকি

জিয়াউর রহমান উগ্র-সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করে: ওবায়দুল কাদের

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :