মাশরাফিদের খেলা দেখতে আসেননি প্রবাসীরা
আবুধাবি শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে মরুভূমির বুকে শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়াম। দৃষ্টিনন্দন এ স্টেডিয়াম মুগ্ধ করার মতো।পড়ন্ত বিকালে বা সন্ধ্যায় এখানে বসে খেলা দেখার মজাই অন্যরকম।অথচ আজকের ম্যাচে পুরো গ্যালারি কিনা ফাঁকাই পড়ে থাকলো।সাকিব মাশরাফিদের উৎসাহ দিতে মাঠে এলেন না বাংলাদেশি সমর্থকরা।
আমিরাতের বিভিন্ন শহরে প্রায় ১০ লাখ বাংলাদেশি থাকেন। দুবাইয়ে দুটি ম্যাচ খেলেছে, সেখানে প্রচুর দর্শক এসেছিলেন। গ্যালারি ভরা ছিল ওই দুই ম্যাচে। আবুধাবিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ম্যাচটিতেও প্রচুর বাংলাদেশি খেলা দেখেন। কিন্তু আজ ম্যাচ হচ্ছে মাত্র শতেক তিনশ দর্শক উপস্থিতিতে। এরমধ্যে শতেক দুইশ বাংলাদেশি হবেন, বাকিরা আফগানিস্তান সমর্থক। আমিরাতে ৬/৭ লাখ আফগানিও থাকেন।
১৯৯৫ সালের পর এই প্রথম আমিরাতে খেলছে বাংলাদেশ। কিন্তু তখন বাংলাদেশ ছিল ছোট দল। সেবার বাংলাদেশের খেলা দেখতে সেভাবে মাঠে আসেননি বাংলাদেশিরা। তবে এবার টুর্নামেন্টের আগে বাংলাদেশিদের মধ্যে বেশ আগ্রহ দেখা যায়। দুবাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে গ্যালারির প্রায় ৯০ ভাগই ছিল বাংলাদেশিদের দখলে। এমনকি ভারত ম্যাচেও গ্যালারির দর্শকের অনুপাত ছিল সমান সমান।
আবুধাবিতে আফগানিস্তানর বিপক্ষে আগের ম্যাচে ভালো দর্শক হওয়ার পর আজ গ্যালারি শূণ্য থাকার কারণ আর কিছু নয়, বাংলাদেশ দলের হতাশাজনক পারফরম্যান্স। আফগানিস্তানের সঙ্গে ওই ম্যাচে মাত্র ১১৯ রানে অলআউট হয়ে লজ্জাজনকভাবে হেরেছিল বাংলাদেশ। পরের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষেও লজ্জার হার।
এরপরই প্রবাসীরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন বাংলাদেশ দল নিয়ে। আবুধাবিতে আজ খেলা দেখতে এসেছেন প্রবাসী নজরুল। একটি ব্যাংকে চাকরি করেন এখানে। তিনি দুবাই গিয়েও বাংলাদেশের দুটি ম্যাচ দেখে এসেছেন। তিনিও জানালেন, খারাপ পারফরম্যান্সের কারণেই দর্শক হয়নি এ ম্যাচে।
টিকিটের দাম, খাবার দাবার ও আসা যাওয়া মিলে কম করে ১০০-১৫০ দিরহাম খরচ হয় একজন দর্শকের। কিন্তু দলের পারফরম্যান্সের যা অবস্থা তাতে এতটাকা খরচ করতে রজি নন প্রবাসীরা। কষ্টের টাকায় যদি ভালো কিছু দেখা না যায় তাহলে মাঠে এসে লাভ কি?
(ঢাকাটাইমস/২৩সেপ্টেম্বর/ডিএইচ)