কঠিন জার্নির পরও সফল, পথ দেখালেন ইমরুল

প্রকাশ | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২১:২৪ | আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০১:৫৯

দেলোয়ার হোসেন, আবুধাবি থেকে

নির্বাচকরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে গিয়েছিলে। কিন্তু সিদ্ধান্তটা বড্ড ভুগিয়েছে দলকে। বড় টুর্নামেন্টে অভিষেক করিয়ে ২০ বছরের নাজমুল হোসেন শান্তর ক্যারিয়ারটাই এখন পিছিয়ে গেল, এবং তারজন্য বাংলাদেশ দলকেও মূল্য দিতে হলো চরম। তামিমের অনুপস্থিতিতে এমনিতেই বেহাল বাংলাদেশের ওপেনিং পজিশন, সেটাকে আরো বিপজ্জনক করে তুলেন এই শান্ত। তিন ম্যাচে তার ব্যাট থেকে এসেছে, ৭, ৭ ও ৬।

পরীক্ষিত ইমরুলদের বাইরে রেখে শান্তর মতো ওপেনারকে দলে নেওয়া কতটা ভুল ছিল, সেটা এখন বুঝতে পারছেন নির্বাচকরা। দল যখন খাদের কিনারে তখন জরুরি ভিত্তিতে দেশ থেকে ডেকে আনা হয় ইমরুল ও সৌম্য সরকারকে।

কিন্তু সৌম্যকে বসিয়ে রেখে ব্যর্থ শান্তকে আবারও সুযোগ দিয়ে সমালোচিত হন টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে কঠিন পরিস্থিতি জয় করে জবাব দিয়েছেন ইমরুল। শান্তর পরিবর্তে সৌম্য একাদশে থাকলে  আরও ব্যালেন্স হতো দল, মনে করছেন সবাই।

বাহাবা পাওয়ার যোগ্য ইমরুল। তিন দিন টানা ম্যাচ খেলার পর দুদিনের জার্নি।ক্লান্ত ইমরুল কি ঠিকঠাক ব্যাটিং করতে পারবেন? এই প্রশ্ন কিন্তু ছিল। তবে সব শঙ্কা উড়িয়ে সফল ইমরুল। গত বছর অক্টেবরে শেষ ওয়ানডে খেলেন দলের হয়ে। কঠিন পরিস্থিতিতে দলে ফিরেই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ইমরুল। দলে যে টানা ব্যাটিং ধ্বস চলছিল, সেটা সামাল দিয়েছেন তিনিই। ৭২ রানে অপরাজিত ইমরুল।

দলের বিপদ ঘটিয়ে ৬ রানে জলদি ফিরে যান শান্ত। এরপর ওয়ান ডাউন ব্যাটসম্যান মিথুন আউট হন ১ রানে। সাকিব ০, মুশফিক ৩৩ করে রান আউট হয়ে গেলে আরেকটি ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে বাংলাদেশ।

তবে এই বিপদ থেকে দলকে উদ্ধার করেন ইমরুল কায়েস ও মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ। সাধারণত ওপেন করেন ইমরুল। তবে এদিন মিডল অর্ডারে নেমেও দারুণ দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেন তিনি।

রিয়াদ- ইমরুল মিলে তুলেন ১২৮ রান। ৮১ বলে ৭৪ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন রিয়াদ। ৮৯ বলে রান করে ৭২ অপরাজিত থাকেন ইমরুল কায়েস। কঠিন পরিস্থিতি জয় করলেন ইমরুল। বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ালো ৭ উইকেটে ২৪৯। টানা দুই ম্যাচে ব্যাটিং ধ্বসের পর এ স্কোর কিছুটা স্বস্তির।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ ইনিংস: ২৪৯/৭ (৫০ ওভার)

(লিটন দাস ৪১, নাজমুল হোসেন শান্ত ১, মোহাম্মদ মিথুন ৬, মুশফিকুর রহিম ৩৩, সাকিব আল হাসান ০, ইমরুল কায়েস ৭২*, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৭৪, মাশরাফি বিন মুর্তজা ১০, মেহেদী হাসান মিরাজ ৫*; আফতাব আলম ৩/৫৪, মুজিব উর রহমান ১/৩৫, গুলবদিন নাইব ০/৫৮, মোহাম্মদ নবী ০/৪৪, রশীদ খান ১/৪৬, সামিউল্লাহ শেনওয়ারি ০/৯)।

(ঢাকাটাইমস/২৩ সেপ্টেম্বর/ডিএইচ)