‘জব্দ হওয়া চাল-আটা ওএমএসের নয়’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৯:৪১ | প্রকাশিত : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৯:২৫

রাজধানীর তেজগাঁও সরকারি গুদাম থেকে যে চাল ও আটা জব্দ হয়েছিল তা ওএমএসের নয় বলে দাবি করেছে ওএমএস ডিলারদের সংগঠন ওএমএস ডিলার অ্যাসোসিয়েশন। তাদের দাবি জব্দ হওয়া ওই চাল ও আটা বিভিন্ন বাহিনীর রেশনের জন্য নির্ধারিত খাদ্যপণ্য।

সোমবার দুপুরে ঢাকা মহানগর ওএমএস ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে (ক্র্যাব) সংবাদ সম্মেলন করে এমন বক্তব্য তুলে ধরেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সদস্যসচিব হারুন অর রশিদ বলেন, ‘কালোবাজারে বিক্রির জন্য গুদাম থেকে বের করার সময় জব্দ করা ওই খাদ্যপণ্যের সঙ্গে ডিলারদের জড়িয়ে তাদের সামাজিকভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে; যা ঠিক না। ওএমএসে প্রত্যেক ডিলারের জন্য প্রতিদিনের বরাদ্দ থাকে এক টন চাল ও দুই টন আটা। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৯টায় সিএসডি থেকে তুলে ওই পণ্য বিকাল ৫টার মধ্যে বিক্রি করতে হয়। অবিক্রিত মালামাল তাদারকি কর্মকর্তা ‘ব্যালেন্স’ হিসেবে দেখিয়ে ডিলারের জিম্মায় দিয়ে দেন। পরদিন ডিলার নিজের খরচে নির্দিষ্ট বিক্রয় কেন্দ্রে তা বিক্রির জন্য নিয়ে যায়। অবিক্রিত মালামাল সিএসডিতে ফিরিয়ে নেওয়ার কোনো সু্যোগ নেই।’

গত ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর তেজগাঁও সরকারি খাদ্যগুদাম, কারওয়ান বাজার, কাকরাইল ও মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে অভিযান চালিয়ে ২১৫ টন চাল ও আটা জব্দ করে র‌্যাব। ওই অভিযানের সময় উদ্ধার হওয়া বস্তার গায়ে লেখা ছিল ‘সুলভমূল্যে বিক্রির জন্য’। যেটা ওএমএসের বস্তায় লেখা থাকে বলে দাবি করেছিলেন র‌্যাব কর্মকর্তারা। এ ব্যাপারে একটি মামলাও হয়।

র‌্যাব জানিয়েছিল স্বল্প আয়ের সাধারণ মানুষের জন্য ঢাকার বিভিন্ন অঞ্চলে ১৪১টি ট্রাকে করে ওএমএসের এসব চাল ও আটা বিক্রি করার কথা। তা না করে খাদ্য গুদামের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব কালোবাজারে বিক্রি করে ছিলেন।

সংগঠনের আহ্বায়ক আলমগীর সৈকত বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি যেসব মালামাল জব্দ করা হয়েছে তা বিভিন্ন বাহিনীর রেশনের মালামাল। অথচ আমাদের পাচারকারী অপবাদ দিয়েই ক্ষান্ত হননি, আমাদের তিনজন ডিলারের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে। তেজগাঁও সিএসডি থেকে সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব, আনসার, টিআর, কাবিখা এবং জেলখানার রেশনের মালামালও তোলা হয়। রেশনের বস্তা এবং ওএমএসের বস্তার গায়ে একই রকম লেখা থাকে। সারাদেশে ৮ শতাধিক ডিলার ওএমএসের মালামাল বিক্রির সঙ্গে জড়িত এবং ‘মিথ্যা অপপ্রচারের কারণে’ তারা সমাজে হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছেন মন্তব্য করে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান হারুন।’

ঢাকাটাইমস/২৪সেপ্টেম্বর/এসএস/ইএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :