ত্রিশালবাসীর ভাগ্যোন্নয়নে জাপার প্রার্থী হতে চান রুমি

মনোনেশ দাস, ময়মনসিংহ
 | প্রকাশিত : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৮:৫১

দেশজুড়েই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আবহ। তারই প্রতিফলন ময়মনসিংহে। ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনে প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির (জাপা) মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতারা মাঠে নেমেছেন। অন্যান্য কিছু দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরাও প্রচারণায় আছেন। এই আসনে নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন সহিদ আমিনী রুমি। তিনি ময়মনসিংহ জেলা জাপার সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক।

সহিদ আমিনী রুমির জন্মস্থান ত্রিশাল উপজেলার কাঁঠাল আয়নাখেতের বহুল পরিচিত মুন্সী বাড়িতে। তার পিতা মরহুম রুহুল আমীন খান। মাতা মরহুমা হুসনে আরা খানম। তার দাদা মুন্সী আবদুল গনি খান। পিতা-মাতার প্রথম সন্তান তিনি। সহিদ আমিনী রুমি স্নাতক পাস। তিনি স্থানীয় এবং সংস্কৃতিমনা হিসেবে এই আসনে সমাদৃত ব্যক্তিত্ব। ত্রিশালে জাপার তৃণমূল নেতা-কর্মীরাও তার মনোনয়নের পক্ষে। তাদের সঙ্গে নিয়েই সহিদ আমিনী রুমি বিভিন্ন এলাকায় জনসংযোগ করছেন। মনোনয়ন নিয়ে দলীয় হাইকমান্ডের সঙ্গেও যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন তিনি।

স্থানীয় জাপা নেতারা জানান, এই এলাকায় কাক্সিক্ষত উন্নয়ন হয়নি। ডিজিটাল বাংলাদেশের যে অগ্রগতি তার সুফল কমই পেয়েছে এলাকাবাসী। তার জন্য এখানে পরিবর্তন দরকার। জাপা নেতা সহিদ আমিনী রুমি এমপি হতে পারলে উন্নয়ন কর্মকা- বাড়বে বলে তারা মনে করেন। তারা আরো জানান, জাপা যদি এ আসন ধরে রাখতে চায়, তাহলে এমপি পদে সহিদ আমিনী রুমির মতো সুযোগ্য নেতা প্রয়োজন।

জানা যায়, সহিদ আমিনী রুমি ছাত্রজীবন থেকেই জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তিনি ১৯৯১ সালে জাপার ছাত্র সংগঠন জাতীয় ছাত্রসমাজের ময়মনসিংহ শহর শাখার সভাপতি হন। ১৯৯৮ সালে ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি লেখালেখিও করেন। কবি হিসেবেও সমধিক পরিচিত। স্থানীয় ছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায় তার কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। ময়মনসিংহের সাহিত্যাঙ্গনে সহিদ আমিনী রুমির সদম্ভ পদচারণা রয়েছে। সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং ভাজপত্র ভেলার সম্পাদক তিনি।

ছাত্র রাজনীতি করার সময় থেকেই ত্রিশালের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো এই নেতা উপজেলার সামাজিক, জনসেবামূলক কাজ ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাপার মনোনয়নপ্রত্যাশী সহিদ আমিনী রুমি এই সময়কে বলেন, ‘জাপা চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আদর্শে এবং বর্তমান সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা জাপার কো-চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদের নির্দেশনা মেনে সততার সঙ্গে এলাকাবাসীর জন্য কাজ করে চলেছি। মনোনয়ন পেলে নির্বাচিত হব- জনগণের ভালোবাসা দেখে সেটাই মনে হচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘ত্রিশালবাসীর স্বপ্ন ও প্রত্যাশা এখনো পূরণ হয়নি। আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হলে এরশাদের আদর্শ ধারণ করে এবং বাবা সার্কেল অফিসার (সিও-রেভিনিউ) মরহুম রুহুল আমীন খানের সততা ও নিষ্ঠা অনুসরণ করে নির্বাচিত হয়ে রওশন এরশাদের হাতকে আরও শক্তিশালী করতে চাই।’

মনোনয়নপ্রত্যাশী সহিদ আমিনী রুমি বলেন, ‘ছাত্রজীবন থেকেই লাঙল তথা জাতীয় পার্টির পক্ষে কাজ করছি। ত্রিশালবাসীর সুখে-দুঃখে পাশে আছি। এবার মনোনয়ন পাব বলেই আশা করছি।’

জাপার এই নেতা এমপি প্রার্থী হতে এখন জনসংযোগ, মিছিল, সভা ও গ্রামে গ্রামে উঠান বৈঠকে ব্যস্ত রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দলীয় মনোনয়ন পাব এই বিশ^াস থেকেই কাজ করছি। তবে দল যাকে মনোনয়ন দেবে, তার হয়েই কাজ করে যাব।’ তিনি আরো বলেন, ‘যারা ভালো ছাত্র তারা কিন্তু সারা বছর পড়ালেখা করে, আর যারা তা নয়, তারা পরীক্ষার তিন মাস আগে থেকে পড়ে। আমি তো সারা বছর কাজ করি। কাজেই পরীক্ষাতে আমার ভয় নেই। আমি নিয়মিত এলাকায় যাই, কাজ করি। সারা জীবন ত্রিশালবাসীকে সঙ্গে নিয়েই কাজ করব।’

এমপি হতে পারলে কী করবেনÑ এমন প্রশ্নে সহিদ আমিনী রুমি এই সময়কে বলেন, ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতি বিজড়িত ত্রিশালকে সংস্কৃতির তীর্থস্থান হিসেবে গড়তে চাই। আমি মনে করি, সেই জাতি তত উন্নত যে জাতির শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি যত উন্নত। তাই ধর্মীয় মূল্যবোধ সুরক্ষার পাশাপাশি এসব বিষয়েও সময় দিচ্ছি।’

ত্রিশালবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আসুন আমরা সবাই মিলে ত্রিশালকে গড়ে তুলি। আমার ব্যক্তিগত কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই। দাদা গনি মুন্সি, বাবা রুহুল আমীন খানও ত্রিশালের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করেছেন। আমিও উত্তরসূরি হিসেবে তাদের মতোই আপনাদের কল্যাণে ত্রিশালের উন্নয়ন করব।’

(ঢাকাটাইমস/২৫সেপ্টেম্বর/ব্যুরোপ্রধান/এমএইচ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :