সুদহার সিঙ্গেল ডিজিটে আনতে পারেনি অনেক ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৩:২৬ | প্রকাশিত : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৩:১৯

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানিয়েছেন, ব্যাংক ঋণে সুদহার এখনও সিঙ্গেল ডিজিটে (৯ শতাংশ) আনতে পারেনি অনেক ব্যাংক। তবে তিনি আশা করছেন শিগগির ব্যাংকগুলো তা বাস্তবায়ন করবে। তার মতে এটা করা খুবই সহজ, এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো প্রোফিট একটু কম করলেই হয়।

মঙ্গলবার সরকারি কর্মচারীদের জন্য সরকারের ব্যবস্থাপনায় ব্যাংক থেকে পাঁচ শতাংশ সরল সুদে (সুদের ওপর সুদ নয়) গৃহনির্মাণ ঋণ বিষয়ে চারটি সরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. আশাদুল ইসলাম, অর্থ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, অতিরিক্ত সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন প্রমুখ।

সরকারি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল গত ৯ আগস্ট থেকে দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকে ৬ শতাংশে আমানত সংগ্রহ ও ৯ শতাংশ সুদহারে শিল্প ঋণ বিতরণ করতে হবে। কিন্তু বাংলাদেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে অধিকাংশেই ব্যাংকে এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করেনি। তবে সরকারি কয়েকটি ব্যাংক তা বাস্তবায়ন করেছে।

৫ শতাংশ সুদে গৃহনির্মাণ ঋণের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। আগে একটা একজন সরকারি কর্মচারী অবসরে যাওয়ার পর মাথাগুজার ঠাঁই নিয়ে চিন্তিত থাকতো। এর মাধ্যমে সে অনিশ্চয়তা থাকবে না।

মন্ত্রী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী এজন নগরিকের অধিকার হচ্ছে খাদ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান। আমরা খাদ্যের বিষয়ে বর্তমানে ভালো অবস্থানে রয়েছি। এটা অর্জনে আধুনিক প্রযুক্তি আমাদের ব্যাপকভাবে সাহায্য করেছে। কৃষি জমি অনেক কমে গেছে। কিন্তু খাদ্য উৎপাদন ব্যাপকভাবে বাড়াতে সক্ষম হয়েছি।

মুহিত বলেন, শিক্ষার ব্যাপার আমরা ইতোমধ্যে যথেষ্ট অগ্রগতি করেছি। যদিও এখনও সার্বজনীন শিক্ষা হয়নি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমাদের দেশের জনগণের ৪০ বছর পর্যন্ত যাদের বয়স তাদের আমরা শিক্ষিত করবো। যাদের বয়স ৪০ পার হয়ে গেছে তাদের বিষয়ে আমরা খেয়াল করছি না। সেটা নিয়ে আমরা যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছি। এই মুহূর্তে আমরা শিক্ষার নেটে যাদের আবদ্ধ করছি সেটা মোটামুটি সাড়ে ৯৮ থেকে ৯৯ শতাংশ। যদিও সার্বিকভাবে শিক্ষিতের হার কখনোই শতভাগ হবে না। আমার মনে আমরা যদি ৯০ শতাংশের উপরে যেতে পারি সেটাই আমাদের জন্য ভালো।

স্বাস্থ্যখাতের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা খুব একটা স্বীকৃত হয় না। তবে আমার মনে হয় এ খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। প্রাথমিকভাবে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর মাধ্যমে এটা বিস্তৃত হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, আবাসনে আমরা এখনো একটু পিছিয়ে আছি। এখন আবাসনে জোর দেয়া হচ্ছে। আজকের এ অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য হচ্ছে আবাসনের ওপরে জোর দেয়া। শতভাগ জনগণকে আবাসনের আওতায় আনতে সময় লাগবে। এখন দেশে হয়তো ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ মানুষ আবাসনের আওতায় রয়েছে। বাকিরা ঝুপরি-টুপরি কোনোভাবে থাকে। এটাও লক্ষণীয় আবাসনে বিস্তার হয়েছে। এটা সর্বব্যাপী উন্নয়ন হয়েছে। যদিও আমি জানি আবাসনে আমরা বেশ পিছিয়ে আছি তারপরও উড়োজাহাজ থেকে দেখা যায় আবাসনে আমরা অনেকটা এগিয়েছি।

(ঢাকাটাইমস/২৫সেপ্টেম্বর/এমএম/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার আশঙ্কা

ব্যাংক এশিয়া কিনে নিচ্ছে পাকিস্তানি আলফালাহ ব্যাংক

এনসিসি ব্যাংক এবং বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মধ্যে চুক্তি

এক্সিম ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক হলেন মইদুল ইসলাম

ডিএমডি হলেন অগ্রণী ব্যাংকের শামিম উদ্দিন আহমেদ

জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমার পূর্বাভাস আইএমএফের

নাটক রূপান্তর: দুঃখ প্রকাশের পর এবার বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানকে আইনি নোটিশ ওয়ালটনের

বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানকে ওয়ালটনের আইনি নোটিশ, চুক্তি বাতিল

কমিউনিটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৫১তম সভা অনুষ্ঠিত

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে কর্মসংস্থান ব্যাংকের নবনিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালকের শ্রদ্ধা

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :