হামলাকারী ছাত্রলীগ কর্মীদের বিচার দাবি

জাবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২০:৪০

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের দুই শিক্ষার্থী ও এক বহিরাগত ফটো সাংবাদিককে সোমবার মারধর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন পালন করেছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন রাস্তায় এই কর্মসূচি পালিত হয়।

এ সময় তাদের সাথে জাবি প্রেসক্লাব, জাবি সাংস্কৃতিক জোট, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জাবি শাখা, জাবির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতিসহ আরো কয়েকটি বিভাগের শিক্ষার্থীরা সংহতি জানিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন।

মানববন্ধনে সাংবাদিকতা বিভাগের ৪২তম আবর্তনের শিক্ষার্থী ও বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক শফিকুল ইসলাম বলেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতি আজকে নতুন না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটা দীর্ঘ সময় ধরে বিচারহীনতার এ সংস্কৃতি তৈরি করেছে। যার ভেতর দিয়ে এ ধরনের ঘটনাকে প্রচ্ছন্নভাবে উৎসাহিত করা হয়েছে। সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের মারধরের ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড আমাদের জন্য অশনি সংকেত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। নইলে এমন ঘটনা ভবিষ্যতে আরো ঘটবে।

সাংস্কৃতিক জোটের প্রচার সম্পাদক মারুফ মোজাম্মেল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, একটি নির্দিষ্ট ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীরাই এখন অলিখিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্ব পালন করছে। এই ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের হাতে এখন সাধারণ শিক্ষার্থীরাও আর নিরাপদ বোধ করছে না। তাদের ঔদ্ধত্য এখন এমন পর্যায়ে উঠে গেছে যে, বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত একজন সাংবাদিকের উপরে হাত তুলতেও তারা আর দ্বিধা বোধ করে না। প্রশাসন যে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিধানে আন্তরিক তাদেরকে এখন সেটিরই প্রমাণ দিতে হবে- এই ঘটনার বিচার নিশ্চিত করে।

হামলাকারীদের বিচার দাবি করে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জাবি শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক শোভন রহমান বলেন, এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার পুনরাবৃত্তি যেন আর না ঘটে- সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে গতকালকের ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে নজির সৃষ্টি করতে হবে।

মানববন্ধনে আরো বক্তব্য দেন- জাবি প্রেসক্লাবের সদস্য মো. মুসা ও আদ্রিয়ান অরিত্র, সাংবাদিকতা বিভাগের ৪৪তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মাইনুদ্দীন শামসুজ্জামান, লোকপ্রশাসন বিভাগের ৪১তম আবর্তনের শিক্ষার্থী এনামুর রহমান, ব্রাহ্মবাড়িয়া ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি রিয়াজুল রশিদ।

এদিকে এ ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের চার কর্মীকে প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টর বরাবর পৃথক লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৩তম আবর্তনের শিক্ষার্থী ও চ্যানেল আই অনলাইনের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মাহমুদুল হক সোহাগ এবং মারধরের সময় তার সঙ্গে থাকা ৪৬তম আবর্তনের এক ছাত্রী। আর শারীরিক লাঞ্ছণা ও ছিনতাইয়ের বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেছেন দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের আলোকচিত্রী বিল্লাল হোসেন ও তার বান্ধবী।

আজকে থেকে প্রক্টরিয়াল বডির ঘটনার তদন্ত শুরু করার কথা থাকলেও শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তারা কাজ শুরু করেনি বলে জানা গেছে। আর প্রক্টর সিকদার মো. জুলকারনাইনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

(ঢাকাটাইমস/২৫সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :