পোশাকের নায্যমূল্য দিতে বলুন, বার্নিকাটকে বিজিএমইএ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২৩:৪৫ | প্রকাশিত : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২১:৩৪

গত আট বছরে দেশে পোশাক খাতে নিম্নতম মজুরি ৩৮১ শতাংশ বেড়েছে। তবে চার বছরে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্যের মূল্য কমেছে ১১.৭২ শতাংশ। এই তথ্য জানিয়ে পোশাকের দাম বাড়াতে তার যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতাকে অনুরোধ করতে দেশটির রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাটকে অনুরোধ করেছে বিজিএমইএ।

বার্নিকাটকে তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠনের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতাদেরকে আপনি অনুরোধ জানাবেন, ক্রেতারা যেনো এদেশের পোশাকে জন্য ফেয়ার প্রাইস (ন্যায্যমূল্য)দেন।

বাংলাদেশ ছাড়তে যাওয়া বার্নিকাটকে মঙ্গলবার ঢাকার কারওয়ান বাজারে বিজিএমইএ ভবনে বিদায়ী সংবর্ধনা দেয় বিজিএমইএ। এ সময় সিদ্দিকুর বলেন, ‘আপনি দেখেছেন যে সম্প্রতি পোশাকখাতের শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি বৃদ্ধি করে আট হাজার টাকা করা হয়েছে। কীভাবে বিগত বছরগুলোতে আমাদের শিল্প ঘুরে দাঁড়িয়েছে- শিল্পের রূপান্তর ঘটেছে। বাংলাদেশের পোশাক শিল্প এখন বিশ্বে সবচেয়ে নিরাপদ ও স্বচ্ছ শিল্পখাত। কিন্তু পশ্চিমা বিশ্বে এখনও এ শিল্পকে নিয়ে কিছু ভুল ধারণা রয়েছে। তাই, আমরা একান্তভাবে আশা করি, বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে আপনি আমাদের শিল্প ও দেশের বিষয়ে সত্যিকারের তথ্য তুলে ধরতে সর্বোচ্চ প্রয়াস গ্রহণ করবেন।’

প্রায় চার বছর ধরে ঢাকায় দায়িত্বপালন করে যাওয়া বার্নিকাটকে বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের ‘অন্যতম বন্ধু’ আখ্যায়িত করে সিদ্দিকুর বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এর জিএসপি সুবিধা পাওয়ার জন্য যেসব শর্ত দেয়া হয়েছে, সেগুলোর সবকটাই বাংলাদেশ পূরণ করেছে। আপনার মাধ্যমে মার্কিন সরকারের কাছে আমার অনুরোধ, বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের জন্য যেনো জিএসপি সুবিধা পূনর্বহাল করা হয়, যতদিন পর্যন্ত না দেশটি মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হচ্ছে।’

যুক্তরাষ্ট্রে কিছু পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধাও চান সিদ্দিকুর। বলেন, ‘আপনার কাছে আমরা অনুরোধ করেছিলাম যে যুক্তরাষ্ট্রের তুলা দিয়ে ফেব্রিক্স তৈরি করে তা দিয়ে পোশাক প্রস্তুত করে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করা হলে সেই পোশাক যেনো যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কমূক্ত বাজার সুবিধা পায়। এর মাধ্যমে শুধুমাত্র আমাদের রপ্তানিকারকগণই উপকৃত হবেন না, মার্কিন তুলা উৎপাদনকারী ও ক্রেতারাও উপকৃত হবেন।’

বার্নিকাট ২০১৪ সালের শেষার্ধে বাংলাদেশে আসেন। সে সময় রানা প্লাজা ধসের পর উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলা করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ। আর এরপর কারখানায় নিরাপদ কর্মপরিবেশ গড়ে তুলতে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়।

এই চেষ্টায় বার্নিকাট সহযোগিতা করেছেন উল্লেখ করে এ জন্য তাকে ধন্যবাদও জানান বিজিএমইএ সভাপতি।

(ঢাকাটাইমস/২৫সেপ্টেম্বর/জেআর/ডব্লিউবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :