‘আমার বাবা এমপি, ঠিক আছে? কয় টাকা বেতনে চাকরি করো?’
স্কুলের সামনের রাস্তায় ডাবল লেনে গাড়ি পার্কিং করে রাখায় প্রাইভেটকার আরোহীকে তা সরিয়ে নিতে অনুরোধ করেন ট্রাফিক সার্জেন্ট। গাড়ি সরাতে আপত্তি জানিয়ে নিজেকে সাংসদের মেয়ে পরিচয় দেন ঐ প্রাইভেটকার আরোহী। এ সময় সার্জেন্টের সাথে আপত্তিকর ভাষায় কথা বলেন তিনি।
ঘটনাটি মঙ্গলবার দুপুরে মিরপুর ১৩ নম্বর স্কলাস্টিকা স্কুলের সামনে ঘটে। ঘটনার সময় ৪৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিও চিত্র ধারণ করেন সার্জেন্ট ঝোটন শিকদার।
মঙ্গলবার বিকেলে একটি ফেসবুক গ্রুপে প্রথম ভিডিওটি ভাইরাল হয়। এরপর তা ছড়িয়ে পরে নানা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
ভিডিওতে দেখা যায় সার্জেন্ট ঝোটন শিকদার গাড়ির ভেতরে থাকা নারীকে তার গাড়ি সরিয়ে নিতে অনুরোধ করছেন। আর ঐ নারী নিজেকে সাংসদেরর মেয়ে পরিচয় দিচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘এই কার গাড়ির ছবি তোলো? এটা সরকারি দলের লোকের গাড়ি। কার গাড়ির ছবি তোলো?’
‘তোমার মতো সার্জেন্ট কয় টাকা বেতনে চাকরি করে? কয় টাকা বেতনে চাকরি করে তোমার মতো সার্জেন্ট? আমরা প্রধানমন্ত্রীর লোক, ঠিক আছে?’
‘আমার বাবা জাতীয় কমিটির সদস্য, আমার বাবা এমপি, ঠিক আছে? কয় টাকা বেতনে চাকরি করো?’
এ বিষয়ে ঝোটন শিকদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে ঢাকাটাইমসকে তিনি বলেন, ‘ঘটনার সময় আমার কথাবার্তা যতেষ্ট নমনীয় ছিল। আমি তাকে গাড়িটি সরিয়ে নিতে অনুরোধ করি। কিন্তু তিনি আমার সাথে বেশ বাজে আচরণ করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘ডাবল লেনে গাড়ি পাকিং করায় বিশাল যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল। তাকে গাড়ি সরাতে বলায় দুই টাকার চাকরি করি, দুই টাকার সার্জেন্ট, তার বাবা এমপি এমন নানা কথা শোনান।’
মেট্রো-গ, ২৬-৯৩৪৭ নম্বরের এই গাড়িটির বিরুদ্ধে তিন অবৈধ পার্কিংসহ তিন ধারায় তিনটি মামলা করা হয়েছে বলে জানান সার্জেন্ট ঝোটন শিকদার।
ঘটনার কারণে উপর থেকে কোনো চাপ বা ফোন কল এসেছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাকাটাইমসকে তিনি বলেন, ‘না, আমার কাছে এমন কোনো কল বা কারো কোনো চাপ আসেননি। আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করেছি।‘
জানা গেছে, প্রাইভেটকারটির আরোহীর নাম ফারজানা ইয়াসমিন। তার বাবার নাম আব্দুল বাতেন মিয়া। ফারজানা ইয়াসমিন নিজেকে সাংসদ কন্যা হিসেবে পরিচয় দিলেও দশম জাতীয় সংসদ সদস্যের তালিকায় তার বাবার নামে কোনো সংসদ সদস্য নেই।
ঢাকাটাইমস/২৬সেপ্টেম্বর/কারই/ ইএস