৯৯৯-এর কর্মশালায় তারকার মেলা

বিনোদন ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১২:৩৭ | প্রকাশিত : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১২:২৬

প্রান্তিক পর্যায়ের জনগোষ্ঠীর কাছে জাতীয় জরুরি ৯৯৯-এর সেবা সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতে কমিউনিটি সেফটি অ্যাওয়ার্নেস শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করে যাচ্ছেন ৯৯৯- এর দায়িত্বরত পুলিশ সুপার তবারক উল্লাহ। তারই ধারাবাহিকতা মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমান গণি রোডের কেন্দ্রীয় নির্দেশনা ও নিয়ন্ত্রণ ভবনে ৯৯৯-এর কনফারেন্স রুমে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

ক্রাইম রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস ফাউন্ডেশনের (ক্রাফ) সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত ওই কর্মশালায় বসেছিল তারকার হাট। সেখানে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী রফিকুল আলম, আইয়ুব বাচ্চু, জুয়েল, ইমরান মাহমুদুল, কনা ও সংগীত পরিচালক শওকত আলী ইমন উপস্থিত ছিলেন। অভিনয় জগত থেকে ছিলেন ওমর সানি, জয়া আহসান, এবিএম সুমন, জন কবির, শবনম ফারিয়া ও ইরেশ জাকেরসহ অনেকে।

এই কর্মশালার মূল লক্ষ্য ছিল জনপ্রিয় ব্যক্তিদের মাঝে ৯৯৯ সম্পর্কে কিছু সতর্কবার্তা পৌছে দেয়া। শুধু তাই নয়, তারকাদের মাধ্যমে কীভাবে প্রান্তিক পর্যায়ের জনগোষ্ঠীর কাছে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ সম্পর্কে তথ্য পৌঁছানো যায় ও সচেতনতা গড়ে তোলা যায় সে সম্পর্কে আলোচনা। এতে করে সাধারণ মানুষ যেন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ -এর ব্যবহার এবং প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানতে পারে।

কর্মশালায় ৯৯৯-এর দায়িত্বরত পুলিশ সুপার তবারক উল্লাহ বলেন, ‘ফেসবুকসহ অন্যান্য সাইবার জগতের মাধ্যমে কেউ যেন অপপ্রচার সৃষ্টি করতে না পারে, গুজব রটিয়ে যেন সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে না পারে, তার জন্যই ৯৯৯-এর এমন উদ্যোগ। এই কাজে ক্রাফ আমাদের সার্বিক সহযোগিতা করছে।’

এদিকে ক্রাফের সভাপতি জেনিফার আলম বলেন, ‘বর্তমান সময়ে ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ এবং পেজ থেকে মানুষ প্রতারণাসহ নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে। যার থেকে প্রতিকার পেতে আপনারা ৯৯৯-এর সেবা গ্রহণ করতে পারেন।’ পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ক্রাফের হেড অফ অপারেশনস মেহনাজ তাবাসসুম।

৯৯৯ আসলে কী?

৯৯৯ হচ্ছে ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস, যার মাধ্যমে সরকার নাগরিকদের জরুরি প্রয়োজনে সম্পূর্ণ টোল ফ্রি ভাবে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস প্রদান করে থাকে। বাংলাদেশ পুলিশ, বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সেবার ভিত্তিতে এই সেবা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

কর্মশালার উদ্দেশ্য কী?

এই কর্মশালার লক্ষ্য হচ্ছে, বিভিন্ন সোশাল মিডিয়ায় ছড়ানো অপপ্রচার ও গুজব যেন সাধারণ মানুষের মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে না পারে সে বিষয়ে সচেতন করা। এছাড়া সাইবার জগতে সংগঠিত বিভিন্ন অপরাধ এবং এর থেকে প্রতিকারের উপায় সম্পর্কে জানানো। ফেসবুক ও ইউটিউবসহ অনলাইন আইডিগুলো কিভাবে নিরাপদ রাখা যায় সে বিষয়ে জ্ঞান দান।

ঢাকাটাইমস/২৬ সেপ্টেম্বর/এএইচ

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :