সেনানিবাসে ‘প্রয়াসের’ যুগপূর্তি উদযাপিত

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত বিশেষায়িত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রয়াসের ‘সাফল্যের একযুগ পূর্তি’উদযাপন এবং জন্মজয়ন্তী উৎসব পালিত হয়েছে।

বুধবার ঢাকা সেনানিবাসের ‘প্রয়াস হলে’ এই উৎসবের আয়োজন করা হয়।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রয়াসের প্রধান পৃষ্ঠপোষক দিলশাদ নাহার আজিজ অনুষ্ঠানস্থলে এসে পৌঁছালে শিক্ষার্থীরা তাকে প্রগাঢ় ভালোবাসায় বরণ করে নেয়। বিশেষ শিশুদের ভালোবাসায় সিক্ত প্রধান অতিথি শিক্ষার্থীদের সাথে কেক কেটে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন এবং সাফল্যের একযুগ পূর্তি উপলক্ষ্যে প্রকাশিত বিশেষ প্রকাশনা ‘স্বপ্ন আমার আকাশ ছুঁয়ে যায়...' বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।

সেনাপরিবার কল্যাণ সমিতির একটি মানবিক উদ্যোগে ২০০৬ সালের ১৮ জুলাই মাত্র ১৭ জন শিক্ষার্থী ও তিনজন শিক্ষক নিয়ে ছোট পরিসরে ‘সেনা সহায়ক স্কুল’ প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তী সময়ে সেনাবাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতায় ‘প্রয়াস বিশেষায়িত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান’ হিসেবে বিশেষ শিশুদের চিকিৎসা, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, পুনর্বাসন, সহায়ক উপকরণ তৈরিসহ শিক্ষক প্রশিক্ষণের জন্য উচ্চ শিক্ষার ব্যবস্থা করেন। বর্তমানে দেশব্যাপী ১১টি শাখায় এর কার্যক্রম বিস্তৃত। কার্যক্রম ও নয়নাভিরাম স্থাপনায় প্রতিষ্ঠানটি আজ বিশাল প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়েছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এবং সুনাম লাভ করছে।

বিশেষ শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা। শিক্ষার্থীদের পরিবেশিত মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপস্থিত সবার ভূয়সী প্রশংসা কুড়ায়। প্রধান অতিথি বিশেষ শিশুদের মনের লালিত স্বপ্নগুলো বাস্তবায়নে একাত্মতা প্রকাশ করেন ও শিশুদের প্রতিভার প্রশংসা করেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় প্রয়াসের কার্যনির্বাহী পরিচালক ও অধ্যক্ষ কর্নেল মো. শহীদুল আলম।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সামরিক-বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী প্রধান, অভিভাবক, শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ প্রয়াসের শিক্ষার্থীরা।

(ঢাকাটাইমস/২৬সেপ্টেম্বর/এএ/জেবি)