ঋণের চাপ ও সন্তানের মৃত্যুর শোকে আত্মহত্যা
এক দিকে ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় পাওনাদারদের চাপ। তার ওপর মেয়ের মৃত্যু। মানসিকভাবে ভেঙে পড়া বাবা আর বেঁচে থাকতে চাইলেন না। গলায় ফাঁস দিয়ে করলেন আত্মহত্যা।
ঘটনাটি ঘটেছে হবিগঞ্জের মাধবপুরে। ভুক্তভোগীর নাম সঞ্জিত প্রধান। বুধবার দুপুরে মাধবপুর থানা পুলিশ সুরমা চা বাগানের ১০ নং ডিভিশনের একটি বাঁশ ঝাড় থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
মাধবপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কামরুজ্জামান জানান, সঞ্জিত প্রধানের বাগানে কাজ না থাকায় আশপাশের বিভিন্ন এলাকার বস্তিতে কৃষি শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। তিনি বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ধার দেনা ও চড়া সুদে ঋণ আনেন। কিন্তু সেটা টাকা তিনি ফেরত দিতে পারছিলেন না।
পাওনাদাররাও ঋণের টাকা পরিশোধ করতে চাপ দিতে থাকে। আর এই চাপে আট মাস আগে তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। এরই মধ্যে তার একমাত্র মেয়ে নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে গত শনিবার মারা যায়। এ খবর পেয়ে সঞ্জিত রবিবার তার শ্বশুর বাড়িতে যান। সেখান থেকে সোমবার সন্ধ্যায় সুরমা চা বাগানে নিজের বাড়িতে আসেন।রাতে খাওয়া শেষে রাত ১০টার দিকে সঞ্জিত তার মাকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে যাচ্ছে বলে ঘর থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। বুধবার সকালে বিদ্যালয়ে আসা ছাত্রছাত্রীরা বাঁশ ঝাড়ে গলায় শার্ট পেছানো সঞ্জিতের লাশ দেখতে পায়।
খবর পেয়ে মাধবপুর থানা থেকে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠায়।
মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে তার থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
ঢাকাটাইমস/২৬সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি