কারিগরি শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবিত প্রকল্পে বিনিয়োগের আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর

ফাইল ছবি

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, কারিগরি শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবিত বিভিন্ন প্রকল্পে বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর আইডিইবি ভবনে অনুষ্ঠিত ‘স্কিলস কম্পিটিশন ২০১৮’এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতায় বাস্তবায়নাধীন ‘স্কিলস এ্যান্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট (স্টেপ) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

২০১৪ সাল থেকে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং এর শিক্ষার্থীদের মেধা ও উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশের লক্ষ্যে স্টেপ এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে।

বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশ এবং শিগগিরই দেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আর এ জন্য জনশক্তিকে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। শিক্ষা হওয়া উচিত দক্ষতা নির্ভর। কারণ দক্ষতা অর্জন করতে না পারলে শিক্ষা নিয়ে অনেককেই বেকারত্বের যন্ত্রণা মোকাবেলা করতে হয়। বর্তমান সরকার শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে আর এর মধ্যে কারিগরি শিক্ষাকে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দিচ্ছে।’

নাহিদ বলেন, ‘দক্ষতা নির্ভর কারিগরি শিক্ষাই কেবল পারে দেশকে দারিদ্রের দুষ্ট চক্র থেকে মুক্ত করে সরকারের নির্ধারিত সময়ে মধ্যম ও উচ্চ আয়ের দেশে রূপান্তর করতে। এ লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে এবং কারিগরি শিক্ষাকে আধুনিকায়নের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।’

শিক্ষামন্ত্রী ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘যদি আপনারা আমাদের ছাত্রছাত্রীদের উদ্ভাবনী প্রকল্পে বিনিয়োগ করেন তবে তারা আরও বেশি বেশি আবিষ্কারের দিকে মনোযোগ দেবে। দেশ, কাল ও বাজারের চাহিদা অনুযায়ী নতুন নতুন প্রকল্প উদ্ভাবন করবে। এতে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।’

‘বর্তমান সরকার যে কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্বারোপ করেছে তার প্রতিফলন বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় দৃশ্যমান। কারিগরি শিক্ষায় এখন ভর্তি হার শতকরা ১৪ ভাগের অধিক। সরকার এই হার ২০২০ সালের মধ্যে শতকরা ২০ ভাগ ও ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ ভাগে উন্নীত করার লক্ষ্যে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘যদি ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের মর্যাদা পেতে হলে তবে ছেলেমেয়েদের কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার কোনো বিকল্প নেই।’

অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন। ‘স্কিলস কম্পিটিশন ২০১৮’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিগত চার বছরের চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণকারী প্রায় ১০০ টি উদ্ভাবনী প্রকল্প প্রদর্শন করা হয়। উদ্ভাবনী প্রকল্পগুলোর বাণিজ্যিক উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে বিভিন্ন শিল্পোদ্যোক্তা ও কলকারখানার মালিক প্রাথমিক ভাবে আগ্রহ ব্যাক্ত করেছেন।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর হোসেন, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অশোক কুমার বিশ্বাস, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোডের্র চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বিশ্বব ব্যাংকের সিনিয়র অপারেসন্স অফিসার ড. মোখলেছুর রহমান এবং স্টেপ প্রকল্প পরিচালক এবিএম আজাদ।

ঢাকাটাইমস/২৭সেপ্টেম্বর/এসআর/ডিএম