নারীর ক্ষমতায়নে তিন পদক্ষেপের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর

অনলাইন ডেস্ক
 | প্রকাশিত : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১২:৪৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের হাতিয়ার হিসেবে নারীর ক্ষমতায়ন এগিয়ে নিতে তিনটি পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

নারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের গতি ত্বরান্বিত করা নিয়ে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এক উচ্চ পর্যায়ের আলোচনায় তিনি বলেন, বদ্ধমূল ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে নারীর সক্ষমতা বৃদ্ধি, সহিংসতাসহ অন্যান্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে নারীর উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং জীবন ও জীবিকার সব ক্ষেত্রে নারীর জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে, এমন নীতি গ্রহণ করতে হবে।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকালের এই অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের মহাসচিব এ্যান্তোনিও গুতেরেস উপস্থিত ছিলেন।

লিথুনিয়ার প্রেসিডেন্ট ও কাউন্সিল অব উইমেন লিডার্সের সভাপতি দালিয়া গ্রাইবোস্কাইত এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এতে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য তিনি দেশটির প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান।

বাংলাদেশে নারী ক্ষমতায়নে নেয়া পদক্ষেপগুলো তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে শিখেছি যে নারীর ক্ষমতায়নের ফলে অর্থনীতিতে এর উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। লিঙ্গ সমতার প্রভাব শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য সেবায় প্রতিফলিত হয়, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পায়, দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয় এবং প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হয়।’

নারীর বৈষম্যের চিত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। এই জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ বেকার। বিশ্বব্যাপী ১৫ বছর ও তার বেশি বয়সের প্রায় ৫০ শতাংশ নারী কর্মজীবী। অপরদিকে একই বয়সসীমার কর্মজীবী পুরুষ প্রায় ৭৫ শতাংশ।

উপরন্ত, একই কাজের জন্য নারীদেরকে পুরুষদের থেকে ১০ থেকে ৩০ শতাংশ কম অর্থ দেয়া হয় বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

ম্যাককিনসে গ্লোবাল ইনস্টিটিউটের এক গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, শ্রমবাজারে লিঙ্গবৈষম্য হ্রাস করতে পারলে তা ২০২৫ সাল নাগাদ বিশ্বের মোট প্রবৃদ্ধিতে ১২ থেকে ২৫ শতাংশ যোগ করবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘কাউকে পিছিয়ে রাখবো না’ এমন উপলব্ধি ছাড়া লিঙ্গ সমতা এবং নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা যাবে না।

বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকারের নেয়া বিভিন্ন কর্মসূচি শুধু নারীর ক্ষমতায়নই নিশ্চিত করবে না, বরং সমাজে নারীর অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগ্রতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে শিক্ষা, কর্মসংস্থান, ব্যবসা ও নীতিনির্ধারণের মতো জায়গায় লিঙ্গ বৈষম্য হ্রাস করা।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান সংসদে ৭২ জন নারী সদস্য রয়েছে। স্পিকার, সংসদ নেতা, উপনেতা ও বিরোধী দলীয় নেতা সবাই নারী।

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ২০১৮ সালের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, লিঙ্গ সমতা দূর করার দিক থেকে বাংলাদেশ এশিয়ার দ্বিতীয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নারীরা সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যে শিক্ষা নিতে পারছে এবং তারা ক্ষুদ্র আকারে কিছু সঞ্চয় করারও সুযোগ পাচ্ছে। তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে কৃষি, সেবা ও শিল্প খাতে দু’কোটি নারী কাজ করছে। বিচার বিভাগ ও প্রশাসনের উচ্চ পদে নারীরা অধিষ্ঠিত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা অভিযানে বাংলাদেশি নারী ইতিহাস সৃষ্টি করছে।–বাসস

(ঢাকাটাইমস/২৮সেপ্টেম্বর/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে রেলকে গড়ে তুলতে হবে: রেলমন্ত্রী

ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

জিম্মি নাবিকদের মুক্তির আলোচনা অনেকদূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ডিএনসিসি কার্যালয় সরানোর মধ্য দিয়ে কারওয়ান বাজার স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু 

বিএসএমএমইউ উপাচার্যের দায়িত্ব নিলেন দীন মোহাম্মদ, বললেন ‘কোনো অন্যায় আবদার শুনব না’

সাত বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে

বাংলাদেশে মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে সমর্থন অব্যাহত থাকবে: যুক্তরাষ্ট্র

সীমান্তে নিহত দুই বাংলাদেশির লাশ ফেরত দিলো বিএসএফ

ট্রেনে ঈদযাত্রা: পঞ্চম দিনের মতো অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :