রাজশাহী সীমান্তে বাড়তি সতর্কতা

রিমন রহমান, রাজশাহী
| আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৪:০৯ | প্রকাশিত : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৪:০৪

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজশাহীর বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অস্ত্র আমদানি ঠেকাতে সীমান্তজুড়ে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলামের দেওয়া এক নির্দেশনায় সীমান্তজুড়ে এ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এতে অস্ত্রের পাশাপাশি ভারত থেকে নানা মাদকদ্রব্য চোরাচালান কমবে বলে মনে করছেন বিজিবি কর্মকর্তারা।

দেশে ভারত থেকে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র এবং হেরোইন ঢোকে রাজশাহী অঞ্চলের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে। নির্বাচনকে ঘিরে এই অস্ত্র আমদানির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে তথ্য পেয়েছেন বিভিন্ন বাহিনী ও সরকারি সংস্থার গোয়েন্দারা।

তাই চাঁপাইনবাবগঞ্জের তেলকুপি ও আজমতপুর, নওগাঁর সাপাহার ও ধামইরহাট, রাজশাহীর বাঘা, চারঘাট, পবা ও গোদাগাড়ী এবং রাজশাহী শহরের দক্ষিণে পদ্মা নদীর ওপারের সীমান্তবর্তী এলাকায় সতর্কতা বাড়িয়েছে বিজিবি।

এছাড়া নির্বাচনের সময়ে দেশে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য পুলিশ-প্রশাসন ও র‌্যাবের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করছেন তারা।

বিজিবি-১ ব্যাটালিয়নের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল গাজী মোহাম্মদ সাজ্জাদ বলেন, মহাপরিচালকের নির্দেশনা অনুযায়ী রাজশাহী অঞ্চলের সীমান্তবর্তী এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

যাতে নির্বাচনকালীন অবৈধ অস্ত্রের অনুপ্রবেশ না ঘটে। এজন্য সীমান্তবর্তী এলাকায় অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বিজিবি সদস্যরা কিছু অস্ত্র উদ্ধারও করেছে।

সেক্টর কমান্ডার বলেন, চোরাচালান ঠেকাতে ধীরে ধীরে সীমান্ত এলাকায় প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো হচ্ছে। ভরা পদ্মায় চলমান নৌকাগুলোতে আচমকা তল্লাশি বাড়ানো হয়েছে। জেলেদের নৌকাগুলোতেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে। আর নির্বাচনকালীন সময় যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা সেজন্য পুলিশ-প্রশাসন, র‌্যাবসহ অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করা হচ্ছে। সবার সঙ্গে সমন্বিতভাবেই কাজ করা হবে।

এদিকে নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় বিজিবির পাশাপাশি পুলিশও তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে। বিষয়টি স্বীকার করে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র সিনিয়র সহকারী কমিশনার ইফতেখায়ের আলম।

তিনি বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। সেই সঙ্গে আরএমপির বিভিন্ন ইউনিটে এ বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অভিযানও নিয়মিত পরিচালনা করা হচ্ছে। কেউ নাশকতার চেষ্টা করলে তাকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সে দিকে পুলিশের সতর্ক দৃষ্টি আছে।

(ঢাকাটাইমস/২৯সেপ্টেম্বর/আরআর/ওআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :