আর্টিজান মামলা: পলাতক আসামির হুলিয়ার প্রতিবেদন পেছাল
গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা মামলায় এক পলাতক আসামির সম্পত্তি ক্রোক এবং তার বিরুদ্ধে হুলিয়ার প্রতিদেন দাখিলের তারিখে পিছিয়ে ১৮ অক্টোবর ধার্য করেছে আদালত।
রবিবার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মনির কামাল শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
ওই আদালতের প্রসিকিউটর গোলাম সারেয়ার খান বলেন, গত ২৯ আগস্ট পলাতক আসামি মো. শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদের সম্পত্তি ক্রোক এবং তাদের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করে আদালত। রবিবার আসামি মো. শরিফুল ইসলামের বিষয়ে প্রতিবেদন আদালতে জমা পড়লেও আসেনি মামুনুর রশিদের প্রতিবেদন। তাই আদালত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে ১৮ অক্টোবর ধার্য করেছেন।
এর আগে গত ৮ আগস্ট একই ট্রাইব্যুনাল মামলাটির চার্জশিট আমলে গ্রহণ করে ওই আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল।
এর আগে গত ২৩ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম বিভাগের পরিদর্শক হুমায়ূন কবির মামলাটিতে সিএমএম আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলার চার্জশিটভুক্ত আটজন আসামি হলেন, হামলার মূল সমন্বয়ক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র্যাশ, ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবি' নেতা হাদিসুর রহমান সাগর, নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী, হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আব্দুস সবুর খান (হাসান) ওরফে সোহেল মাহফুজ, শরিফুল ইসলাম খালিদ ও মামুনুর রশিদ রিপন। আসামিদের মধ্যে শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ পলাতক এবং অপর ছয় আসামি কারাগারে রয়েছেন।
চার্জশিটটি ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের (সংশোধনী ২০০৩) ৬(২)/৭/৮/৯/১০/১২/১৩ ধারায় দাখিল করা হয়েছে। যেখানে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে।
কারাগারে থাকা আসামিদের মধ্যে মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, হাদিসুর রহমান সাগর, রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র্যাশ ও রাকিবুল হাসান রিগ্যান হামলার দায় স্বীকার করে আদালতে দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। এর আগে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের ওপর গ্রেনেড হামলা চালায় জঙ্গিরা। গ্রেনেড হামলায় ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন নিহত হন। যৌথ বাহিনী পরে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করে। অভিযানে ছয় জঙ্গির সবাই নিহত হন।
(ঢাকাটাইমস/৩০সেপ্টেম্বর/আরজেড/জেবি)