আমীর খসরুর আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ
অবৈধভাবে অর্থ লেনদেন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) হাজিরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর রিট খারিজের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
একইসঙ্গে দুদকের তলবের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আমীর খসরুর রিট খারিজাদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করতে বলেছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আমী খসরুর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।
খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, আমীর খসরুর আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে হাইকোর্টের আদেশের কপি হাতে পাওয়ার পর তাকে লিভ টু আপিল করতে বলেছেন। এর ফলে এ সময়ের মধ্যে খসরুকে তলবের আদেশ বহাল থাকছে।
গত ১৬ আগস্ট দুদক আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে ২৮ আগস্ট হাজির হতে নোটিশ দেন। নোটিশে বলা হয়, বেনামে পাঁচ তারকা হোটেল ব্যবসা, ব্যাংকে কোটি কোটি টাকার অবৈধ লেনদেনসহ মানিলন্ডারিং করে বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ ছাড়া স্ত্রী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যসহ নিজ নামে শেয়ার কেনাসহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগও অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
পরে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এক মাসের সময় চেয়ে আবেদন করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে দুদক বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্যকে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর দুদক কার্যালয়ে হাজির হতে বলেন। পরে গত ৩ সেপ্টেম্বর দুদকের এই চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন আমীর খসরু।
এরপর গত ৫ সেপ্টেম্বর রিটটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন হাইকোর্টের অপর একটি বেঞ্চ। পরে হাইকোর্টের নতুন বেঞ্চে মামলাটির ওপর শুনানি শেষে গত ১৬ সেপ্টেম্বর আবেদনটি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। যার পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে চেম্বার আদালতে আবেদন জানায় আমীর খসরু। চেম্বার আদালত ১ অক্টোবর শুনানির দিন নির্ধারণ করে আপিল বিভাগে পাঠিয়ে দেন।
ঢাকাটাইমস/০১অক্টোবর/এমএবি/এমআর