রুশ বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি কেন্দ্রের আয়োজন

ঢাকার তরুণ সাংবাদিকদের সামনে বর্তমান রাশিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০২ অক্টোবর ২০১৮, ২০:০০

রাশিয়ার খবর নিয়ে অনেক আগ্রহ বাংলাদেশে। ভ্লাদিমির পুতিনের খবর জানতে আরো বেশি উৎসুক আমরা। কিন্তু তার বিষয়ে ইতিবাচক সংবাদ কমই মিলে থাকে। যে খবর প্রকাশিত হয় তাতে পুতিনকে একজন স্বৈরশাসক হিসেবেই উপস্থাপিত করা হয়। এর কারণ রাশিয়ার সংবাদ সরাসরি আসে না এই দেশে। অনুদিত হয় যা, তা মূলত রাশিয়া-বিদ্বেষী পশ্চিমা গণমাধ্যম সম্প্রচারিত সংবাদ। তাই রুশদের চিন্তাচেতনা সঠিকভাবে জানতে পারি না আমরা। লৌহমানব পুতিনকে তারা কতটা সমর্থন করেন?

‘ঈশ্বরের পরেই পুতিনের উপর ভরসা রাখে ৮০ শতাংশ রুশ। তার সব কাজেই তার সমর্থন আছে। তারা মনে করে, তিনি যা করেন রাশিয়ার মঙ্গলের জন্যই করেন।’- ৩০ সেপ্টেম্বর রাশিয়া থেকে ভিডিও কনফারেন্সে এভাবেই বললেন বারেক কায়সার। উচ্চশিক্ষার প্রয়োজনে ঢাকার এই তরুণ সাংবাদিক এখন আছেন সেখানে। গঠন করেছেন বাংলা প্রেস ক্লাব, রাশিয়া।

গত ৮ সেপ্টেম্বর ছিল আন্তর্জাতিক সাংবাদিক সংহতি দিবস। দিনটি স্মরণে মাসের শেষ দিনে ঢাকার ধানমন্ডিতে রুশ বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি কেন্দ্র আয়োজন করে এক অনুষ্ঠান। ঢাকার তরুণ সাংবাদিকদের সঙ্গে ভাব বিনিময়ের জন্যই মূলত করা হয় এই প্রীতি সম্মেলন। কেন্দ্রের পরিচালক আলেক্সান্ডার পেত্রোভিচ দিওমিন এই সময় বক্তব্য রাখেন। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরও দেন।

চলতি বছর শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান এবং শিক্ষাক্ষেত্রে ঢাকায় রুশ বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি কেন্দ্র কী ভূমিকা রেখেছে সেই বিবরণ দেন দিওমিন। তিনি জানান, প্রতি বছরের মতো এবারও তারা ঢাকায় চলচ্চিত্র বিষয়ক অনুষ্ঠানে রাশিয়ার অংশগ্রহণ ছিল। এছাড়া আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবস, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে তারা সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। এপ্রিল মাসে ঢাকার অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ক অলিম্পিয়াডে সহায়তা দেয় ঢাকার রুশ বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি কেন্দ্র।

এই কেন্দ্রের পরিচালক আলেক্সান্ডার পেত্রোভিচ দিওমিন বলেন, রুশ সরকারের বৃত্তি নিয়ে চলতি বছরে বাংলাদেশের একাধিক শিক্ষার্থী এবার রাশিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়েছে। পুরো প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের সহায়তা করেছে কেন্দ্র। শিক্ষার এই সুযোগ ভবিষ্যতে আরো বাড়বে বলে তিনি মনে করেন।

অনুষ্ঠানে রাশিয়া-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করেন ঢাকার তরুণ সাংবাদিকরা। রাশিয়া থেকে সরাসরি ভিডিওর মাধ্যমে বাংলা প্রেস ক্লাব, রাশিয়ার বারেক কায়সার ছাড়াও আলোচনা করেন সৈয়দ মেহেদী হাসান ও মো. রেজাউল করিম। তারা রাশিয়ার শিক্ষাব্যবস্থা, মানুষ, ভূ-প্রকৃতি নিয়ে তাদের অভিজ্ঞতার কথা জানান। তাদের আলোচনায় সাবেক সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রটির নতুন নতুন দিক উন্মোচিত হয় ঢাকার তরুণ সাংবাদিকদের সামনে।

মস্কো ও ঢাকার সম্পর্ক দিনে দিনে আরো উষ্ণ হবে, এই আশাবাদের মাধ্যমে সন্ধ্যেবেলায় শেষ হয় আয়োজন।

ঢাকাটাইমস/০২অক্টোবর/টিএমএইচ

সংবাদটি শেয়ার করুন

গণমাধ্যম বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা