‘একাত্তরের কর্মী আনোয়ারকে রাস্তায় খুন করা হয়েছে’
রাজধানীর জাহাঙ্গীর গেইটের কাছে বাসচাপায় একাত্তর টেলিভিশনের মার্কেটিং বিভাগের কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় চালক ও মালিকের শাস্তি দাবিতে মানববন্ধন করেছেন তার সহকর্মীরা।
মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন থেকে এই দাবি করা হয়।
ইলেকট্রনিক মিডিয়া মার্কেটিং অ্যাসোসিয়েশনের (ইমা) ব্যানারে মানববন্ধনে সংবাদকর্মী ও টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর মার্কেটিং বিভাগের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
একাত্তর টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক শাকিল আহমেদ বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের সিসিটিভি ফুটেজ দেখেছি। আনোয়ার বাসটি থেকে নিরাপদ দূরত্বে ছিল। কিন্তু বাসটি একটি সিএনজিকে ধাক্কা দিয়ে তাকেও ধাক্কা দিয়েছে। তাকে রাস্তায় খুন করা হয়েছে। আমার প্রশ্ন, বাসটি কাগজপত্র ছাড়া কীভাবে সড়কে চলছিল? সড়কে এসব খুনের পেছনে যারা দায়ী তাদের সবাইকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’
ইমা'র সভাপতি আক্তার হোসেন বাবু বলেন, আমরা আনোয়ারকে হারিয়েছি। আজ শুধু আনোয়ার নয়, সবার জন্য নিরাপদ সড়ক চাই। রাস্তায় প্রতিটি মানুষই নিরাপদ হোক। রাস্তায় যাতে লাইসেন্স ছাড়া ড্রাইভার যেন রাস্তায় নামতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
এসময় নিহত আনোয়ারের ভাই আমিনুল ইসলাম বলেন, আমার ভাই চলে গেছে। তাকে তো আর আমরা ফিরে পাব না। তবে আমাদের আর কারও কাছে কিছু চাওয়া-পাওয়ার নেই। শুধু আমার ভাইকে হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।
নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, বিদেশে এক অপরাধ পরবর্তী সময়ে করলে দুইগুণ-তিনগুণ সাজা হয়। একসময়ে যানবাহনটি আটক করা হয়, চালককে আটক করা হয়। আমাদেরও তেমন ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু নিরাপদ সড়কের জন্য পথচারী ও চালক সবাইকেই সচেতন হতে হবে। মোটরসাইকেল চালকরা বাম লেন বন্ধ করে দেয়, এই রীতি বন্ধ করতে হবে।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর সকালে মহাখালীর জাহাঙ্গীর গেটের সামনে বাসচাপায় আহত হন আনোযার। পরে তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এসময় ভিআইপি পরিবহনের চালক সুজন মিয়াকে আটক করা হয়। এই ঘটনায় নিহতের শ্যালক তৌফিক আহম্মেদ কাফরুল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
(ঢাকাটাইমস/০২অক্টোবর/এসএস/জেবি)