ক্যানসারের কারণ হতে পারে প্রসাধনী
বিভিন্ন প্রসাধনীতে থাকা রাসায়নিক পদার্থ ক্যানসারের কারণ হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ডাক্তার, রসায়নবিদ ও গবেষকেরা। এসব প্রসাধনী নারীদের যৌন হরমোনকে প্রভাবিত করতে পারে বলেও জানিয়েছেন তারা।
আজকাল নারীরাই শুধু নয়, পুরুষদেরও রূপচর্চায় প্রসাধনী ব্যবহার করতে দেখা যায়। তবে সব প্রসাধনী কিন্তু ত্বকের জন্য ভালো নয়। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের মধ্যে ত্বক খুবই স্পর্শকাতর। প্রসাধনীর কিছু রাসায়নিক উপাদান শরীরের ত্বকের জন্য খুবই বিপজ্জনক হতে পারে। এমনকি এটা শেষ পর্যন্ত ক্যানসারও ঘটাতে পারে। তাই প্রসাধনী ব্যবহারের ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা।
এ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ত্বক বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ফারজানা ইসলাম ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘বেশিরভাগ মেয়েরাই রং ফর্সাকারী ক্রিম ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু এটা খুবই ক্ষতিকারক। কারণ, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ব্লিচিং পাউডার, যা ত্বকের কোষের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে ক্যানসারেরও কারণ হতে পারে।’
শুধু তাই নয়, বিভিন্ন গবেষণায় জানা গেছে, প্রসাধনীর ব্যবহার শরীরের হরমোনকে এমনভাবে নিয়ন্ত্রণহীন করে তোলে যে, নারীরা কোনো কোনো ক্ষেত্রে বন্ধ্যা পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। আলট্রা ভায়োলেট ফিল্টার এবং ফেনোলস, ফোলিক স্টিমুলেশন হরমোন এবং লুইটিনিজিং হরমোনের মাত্রা কমায় ঠিকই, তবে প্যারাবেস হরমোন এবং ডিম্বাশয়ের উৎপাদিত প্রধান হরমোন এস্ট্রোজেনের মাত্রা বাড়ায়। ফলে নারীর বন্ধ্যাত্ব পর্যন্ত ঘটাতে পারে।
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষক ফরহাদ হোসেন ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘বেশিরভাগ প্রসাধনীতে এমন কিছু কেমিক্যালস রয়েছে, যা স্তন ক্যানসারের মতো এস্ট্রোজেন নির্ভর রোগগুলোকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই প্রসাধনী ব্যবহার করার আগে সেটি সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে।’
তিনি আরও জানান, প্রস্রাবে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখে এই প্রসাধনীর ব্যবহার। এর ফলে প্রস্রাবে আলট্রা ভালোলেট ফিল্টার, অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল প্রিজারভেটিভস, বিসফেনলে এবং ক্লোলোফেনলস এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, যা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।’
তাই প্রসাধন সামগ্রীতে কী কী রাসায়নিক দ্রব্য বা উপাদান থাকে, তা প্রসাধনী কেনা এবং ব্যবহারের আগে দেখে নেয়া উচিত বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা।
(ঢাকাটাইমস/০৪অক্টোবর/ডিআর/জেবি)