আঞ্চলিক বাণিজ্যে রাজনীতি এবং বর্তমান সংকট

কাওসার রহমান
| আপডেট : ০৪ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:২৬ | প্রকাশিত : ০৪ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:২৫

আঞ্চলিক বাণিজ্য নিয়ে বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরেই সমস্যায় আছে। বৈশ্বিক বাণিজ্যে বাংলাদেশ মোটামুটি ভালো করলেও আঞ্চলিক বাণিজ্যে মার খাচ্ছে প্রতিনিয়ত। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের বাণিজ্য খুবই নাজুক অবস্থায়। এর জন্য যতটা না নিজে দায়ী, তার চেয়ে বেশি দায়ী প্রতিবেশী দেশ ভারত। মূলত ভারতই এ অঞ্চলের বাণিজ্য নিজেদের দখলে রাখতে এ অঞ্চলের অন্য কোনো দেশকে উঠতে দিচ্ছে না। ফলে দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক বাণিজ্য যেমন অতি নিম্ন অবস্থায় আছে, তেমনি বাংলাদেশের বাণিজ্যও রয়েছে হতাশাজনক অবস্থায়।

এ হতাশার চিত্রটি সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে। ‘এ গ্লাস হাফ ফুল: দ্য প্রমিজ অব রিজিওনাল ট্রেড ইন সাউথ এশিয়া’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে বাংলাদেশের বাণিজ্য এখন ৮৪ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের। অথচ দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের বাণিজ্যের পরিমাণ হচ্ছে মাত্র ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের। বিশ্বে যেখানে ১ ট্রিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হচ্ছে সেখানে গত ২৫ বছরে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের বাণিজ্যের পরিমাণ ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে আটকে আছে। অথচ মানুষের তৈরি বাণিজ্য বাধা দূর করতে পারলে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর বাণিজ্য তিন গুণ বাড়ানো সম্ভব। এটা বর্তমান আঞ্চলিক বাণিজ্য ২৩ বিলিয়ন ডলার থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা যায় অনায়াসেই।

মূলত মানুষের তৈরি বাধার কারণেই বাংলাদেশের আঞ্চলিক বাণিজ্য বাড়ছে না। দক্ষিণ এশিয়ায় বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ চার ধরনের বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। এগুলো হচ্ছে উচ্চ শুল্ক, আধা শুল্ক ও অশুল্ক বাধা, কানেকটিভিটি খরচ এবং সীমান্তে আস্থার সংকট। অথচ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সাফটা চুক্তি রয়েছে। ফলে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কোনো শুল্ক থাকার কথা নয়। অথচ এ অঞ্চলেই সবচেয়ে বেশি শুল্ক রয়েছে। সরাসরি শুল্কের বাইরেও আছে আধা বা প্যারা ট্যারিফ। এ কারণেই বলা হয়, কোনো শুল্ক নেই তবু সবেচেয়ে বেশি শুল্ক।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) এক গবেষণায় দেখা গেছে, ২০০৪ সালে যখন সাফটা (সাউথ এশিয়ান ফ্রি ট্রেড এরিয়া) চুক্তি হয়, তখন বিশ্ববাণিজ্যে দক্ষিণ এশিয়ার অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের অংশগ্রহণ ছিল ৫ শতাংশ। সাফটা করার উদ্দেশ্যই ছিল এ অঞ্চলের মধ্যে আঞ্চলিক বাণিজ্য বাড়ানো। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, সাফটা চুক্তির পর দক্ষিণ এশিয়ার বাণিজ্য না বেড়ে বরং কমে গেছে। বর্তমানে তা কমে হয়েছে আড়াই শতাংশ। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, বিশ্ববাণিজ্যে এশিয়ার অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের অবদান ২৫ শতাংশ। অন্যদিকে ইউরোপের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের অবদান ৬৩ শতাংশ। অথচ ১৯৪৭ সালের আগেও এটি ছিল ৩০ শতাংশ।

এর মূল কারণ হচ্ছে, এ অঞ্চলের গড় শুল্কহার অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি। ফলে পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে দক্ষিণ এশিয়ার বাণিজ্য ব্যয়ও সবচেয়ে বেশি। অর্থাৎ পৃথিবীর যেকোনো অঞ্চলের চেয়ে এ অঞ্চলে আমদানিতে সবচেয়ে বেশি বাধা দেওয়া হয়। দেশগুলো উচ্চহারে নিয়ন্ত্রণমূলক ও সম্পূরক শুল্ক আরোপ করে এ বাধা সৃষ্টি করে রাখছে। পাশাপাশি সংবেদনশীল পণ্যের তালিকায় ফেলানো হয় অন্তত এক-তৃতীয়াংশ পণ্যকে। ফলে পণ্যের সংখ্যা কমে গিয়ে বাণিজ্যের পরিমাণও কমছে।

সাফটার মূলনীতি থেকে সার্কভুক্ত দেশসমূহ সরে এসেছে। তার জায়গায় স্থান নিয়েছে অবিশ্বাস এবং বড় দেশের খবরদারি করার মানসিকতা। বড় দেশগুলোর মানসিকতা এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, আমি একাই সব খাব, অন্যকে ভাগ দেব না। অথচ সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে ২০০৬ সালের পয়লা জানুয়ারি যে সাফটা চুক্তি বলবৎ করা হয়, তার মূল উদ্দেশ্যই ছিল বিনিয়োগ ও উৎপাদন বৃদ্ধির সম্ভাবনার প্রসার, বাণিজ্যের প্রসার ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন বৃদ্ধিসহ অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহযোগিতার মাধ্যমে সার্কভুক্ত দেশসমূহের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং জাতীয় উন্নয়ন নিশ্চিত করা। সাফটা চুক্তির ভূমিকায়ও সুবিধাজনক বাণিজ্য ব্যবস্থায় সদস্যভুক্ত দেশসমূহে আন্তঃসীমান্ত পণ্য আদান-প্রদানের অসুবিধা দূরীকরণের মাধ্যমে উচ্চ পর্যায়ের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার অভিপ্রায় ও প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি স্পষ্টভাবে স্বীকার করা হয়েছে।

২৫ অনুচ্ছেদ সম্বলিত সাফটা চুক্তিতে চারটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো হলো এক. চুক্তিভুক্ত সদস্য দেশসমূহের বাণিজ্য-সংক্রান্ত প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণ ও এ সব দেশে আন্তঃসীমানা পণ্য আদান-প্রদানের প্রবাহকে সহায়তা প্রদান; দুই. এ সব দেশে স্বকীয় অর্থনৈতিক অবস্থার আলোকে মুক্তবাণিজ্য এলাকাভুক্ত অঞ্চলে ন্যায্য প্রতিযোগিতার এবং পক্ষপাতমুক্ত ও ন্যায়বিচারপূর্ণ সুবিধাদির প্রবর্তন; তিন. সাফটা চুক্তির বাস্তবায়ন ও প্রয়োগের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, যুগ্ম ব্যবস্থাপনা এবং বিরোধের নিষ্পত্তি; চার. আঞ্চলিক সহযোগিতার অধিকতর সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো স্থাপন এবং পারস্পরিক সুবিধাদি বৃদ্ধি।

সাফটা চুক্তিতে ছয়টি নীতির উল্লেখ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে: ক) চুক্তিটি বাস্তবায়িত হবে এর বিভিন্ন ধারা এবং চুক্তিবদ্ধ দেশসমূহের সম্মতিক্রমে গৃহীত বিধিবিধান, সিদ্ধান্ত, সমঝোতা ও স্বাক্ষরিত প্রটোকলের মাধ্যমে; খ) বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার মারাকেশ চুক্তির এবং চুক্তিবদ্ধ দেশসমূহ কর্তৃক স্বাক্ষরিত অন্যান্য চুক্তির আওতাভুক্ত অধিকার ও দায়দায়িত্ব অক্ষুণœ থাকবে; গ) চুক্তিবদ্ধ দেশসমূহের স্বকীয় অর্থনৈতিক ও শিল্প উন্নয়নের পর্যায়, বৈদেশিক বাণিজ্যের ধারা এবং শুল্কহারের নীতি ও পদ্ধতির ভিত্তিতে এবং পারস্পরিক ন্যায়বিচারপূর্ণ সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য সাফটা চুক্তি প্রয়োগ করা হবে; ঘ) সাফটার আওতাভুক্ত দেশসমূহের মধ্যে অবাধে পণ্য চলাচল নিশ্চিত করা হবে। এ ধরনের চলাচল শুল্কহার, আধা-শুল্কহার এবং অশুল্কবিষয়ক বাধানিষেধ এবং সমতুল্য বিষয় প্রত্যাহারের মাধ্যমে করা হবে; ঙ) চুক্তিভুক্ত দেশসমূহ বাণিজ্যের প্রসার সহায়ক ও প্রাসঙ্গিক অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহণ করবে যার মধ্যে সংশ্লিষ্ট আইনি কাঠামোকে পর্যায়ক্রমে সমতুল্য করার বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত থাকবে; চ) পারস্পরিক সুবিধা বহির্ভূত ভিত্তিতে চুক্তিভুক্ত অঞ্চলের চিহ্নিত অনুন্নত দেশের জন্য বিশেষ এবং কার্যকরী বাণিজ্য প্রসার সম্পর্কিত সুবিধাদির বিষয়টি পারস্পরিক স্বীকৃতি দেওয়া হবে।

সর্বোপরি একটি অর্থনৈতিক সংঘ প্রতিষ্ঠাই সাফটার রূপকল্পে স্বীকৃতি পাবে। এতদঞ্চলের দেশসমূহের বাণিজ্যবিষয়ক পারস্পরিক সংঘাত নিঃসন্দেহে এ রূপকল্প বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টি করবে এবং বর্তমানেও এই অবস্থা বিরাজমান। অনেক সমান্তরাল পরিপূরক বিষয় বাণিজ্য সহযোগিতার সীমানার বাইরে রয়েছে। এজন্য চুক্তির বিভিন্ন দিক সম্পর্কিত বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো: ক) বাণিজ্য উদারীকরণ পরিকল্পনা, খ) পণ্যের রুলস অব অরিজিন এবং রাজস্ব ক্ষতিপূরণের পদ্ধতিগত প্রক্রিয়া। বাণিজ্য উদারীকরণ বিষয়ের মধ্যে মূলত পণ্য সম্পর্কিত তিনটি তালিকা প্রণয়নের বিষয় রয়েছে: ১) নিষিদ্ধ তালিকাকে সময়ে সময়ে সংবেদনশীল তালিকা নামেও অভিহিত করা হয়। ২) মুক্ত তালিকা যে তালিকাভুক্ত পণ্যের জন্য সম্পূর্ণ শুল্ক প্রত্যাহার অথবা নগণ্য শুল্কহার আরোপ করার বিষয়টি গ্রহণযোগ্য হবে এবং ৩) অবশিষ্ট তালিকা যে তালিকাভুক্ত পণ্যে শুল্ক হ্রাসের বিষয়টি প্রযোজ্য হবে।

দীর্ঘ আলোচনার পর একমত হয়ে সাফটা চূড়ান্ত রূপ লাভ করে। বিশ্লেষণমূলক গবেষণায় দেখা যায়, শেষ পর্যন্ত সাফটা চুক্তির ফলে চুক্তিভুক্ত দেশসমূহে বাণিজ্যের প্রসার ঘটেনি। দেখা যাচ্ছে, এ চুক্তির বাস্তবায়ন বাণিজ্য উদারীকরণ পরিকল্পনার মধ্যে সীমিত। এর ফলে বাণিজ্যের পরিধি ও পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়নি।

বিশেষ করে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি দিন দিন বেড়েই চলেছে। সর্বশেষ ২০১৬-১৭ অর্থবছরের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে ভারতে ৬৭ কোটি ২৪ লাখ মার্কিন ডলারের রপ্তানি হয়েছে। অন্যদিকে ভারত থেকে বাংলাদেশে রপ্তানি করা হয়েছে ৬১৬ কোটি ডলার মূল্যের পণ্য। ফলে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৫৪৯ কোটি ডলার। অথচ ২০১০-১১ সালে এই ঘাটতি ছিল ৪০৭ কোটি ডলার। এ বছর বাংলাদেশ আমদানি করে ৪৫৭ কোটি ডলার মূল্যের পণ্যসামগ্রী এবং ভারতে রপ্তানি করে মাত্র ৫০ কোটি ডলার মূল্যের পণ্য। অর্থাৎ দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতিও ভারতের অনুকূলে বেড়ে যাচ্ছে। এর মূল কারণ সেই শুল্ক ও অশুল্ক বাধা। যখনই কোনো পণ্য ভারতে রপ্তানি হতে শুরু করে তখনই ভারত সরকার তাতে শুল্ক ও অশুল্ক বাধা আরোপ করে তা আটকে দেয়। সর্বশেষ এই বাধা আরোপ করা হয়েছে ভোজ্যতেলের ক্ষেত্রে। সাম্প্রতিককালে ভারতে বাংলাদেশ থেকে ভোজ্যতেল রপ্তানি হওয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু প্রতিবেশী দেশটির গণমাধ্যমে তার প্রচারিত হওয়ায় এবং সেদেশের ভোজ্যতেল উৎপাদকরা সোচ্চার হওয়ায় তা আটকে গেছে। প্যারা ট্যারিফ আরোপ করে তা স্থলবন্দরগুলোতে আটকে দেওয়া হয়েছে। ফলে ভারত থেকে বাংলাদেশের আমদানি দ্রুত গতিতে বাড়লেও সেদেশে বাংলাদেশের রপ্তানি আশানুরূপভাবে বাড়ছে না।

আসলে দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক বাণিজ্য এখনো বাজারের ওপর নির্ভর করছে না। এখানে মূলত কাজ করছে রাজনীতি। এ ছাড়া নিরাপত্তা, আমলাতন্ত্র এগুলোও বাণিজ্যকে নিয়ন্ত্রণ করছে। তাছাড়া এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্যিক বিষয়েও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পৃক্ত থাকে। থাকে নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর মতামত। বাণিজ্য বাড়াতে এশিয়ান হাইওয়ে ও এশিয়ান রেলওয়ে খুবই ভালো ধারণা ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক ও নিরাপত্তাজনিত কারণে তা বন্ধ হয়ে গেছে। আঞ্চলিক যৌথ উদ্যোগের সফলতা ও ব্যর্থতা যা হয়েছে তা রাজনৈতিক কারণেই হয়েছে। এজন্য অনেক দেশই এখন আর আঞ্চলিক উদ্যোগ না নিয়ে দ্বিপক্ষীয় মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করছে।

ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানে নিরাপত্তা বড় বিষয়। যে কারণে এখানে রাজনীতি মুখ্য ভূমিকা রাখে। এটা অস্বীকার করাও যাবে না। এজন্য বাণিজ্য বাড়াতে হলে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়াতে হবে। বিশেষ করে নীতি প্রণয়ন, নিয়ন্ত্রণ, বাণিজ্য বাধা দূর ইত্যাদি বিষয়ে সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে হবে। বাজারগুলোতে সুশাসন নিশ্চিত করা গেলে বাণিজ্য সহজ হবে। ভ্যালু চেইন সৃষ্টি করা গেলে এক দেশের পণ্যের প্রতি অন্য দেশের ব্যবসায়ীরা আগ্রহী হবেন।

তবে মূল কথা সেই একটাই ভারত আগ্রহী না হলে দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক বাণিজ্য এগোবে না। কারণ ভারত এ অঞ্চলে বড় দেশ। এছাড়া এ অঞ্চলের দেশগুলোর সরকারের মনোভাবও গুরুত্বপূর্ণ। এই মনোভাবের কারণেই সার্ক ব্যর্থ হয়েছে। তাই দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে হবে। তবে শুল্ক ও অশুল্ক বাধা দূর করার পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা যেমন বাড়াতে হবে, তেমনি নিশ্চিত করতে হবে সুশাসন। তাহলেই বাণিজ্য স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে। তবে এসব করতে হলেও দরকার গণতন্ত্র ও রাজনৈতিক সদিচ্ছা।

অবশ্য আঞ্চলিক বাণিজ্য বাড়াতে সরকারগুলো যে একেবারে কিছু করছে না তা নয়। শুল্ক ও অশুল্ক বাধা দূর করার জন্য সরকারগুলো লোক দেখানো অনেক কিছু করেছে। পাশাপাশি অবকাঠামো তথা রাস্তাঘাট নির্মাণ হচ্ছে কানেকটিভিটি বাড়ানোর জন্য। তবে ১৯৪৭ সালের মতো কানেকটিভিটি সম্ভব নয়, তবে চেষ্টা চলছে। সাফটা কার্যকরের মাধ্যমে নতুন করে কানেকটিভিটি কার্যকর করার চিন্তাভাবনা চলছে। যদিও ভারতের সঙ্গে কানেকটিভিটি বাড়াতে কিছু প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়ন হলে অন্তত এ অঞ্চলের চার দেশ বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান ও নেপালের মধ্যে কানেকটিভিটি বাড়বে।

কাওসার রহমান: নগর সম্পাদক, দৈনিক জনকণ্ঠ

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

ঈদ উৎসব মাতাতে ‘ঢেউ’য়ের ওয়েস্টার্ন সংগ্রহ

৮ হাজার কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন একনেকে

সিটি ব্যাংকের ২০২৩ সালের মুনাফা ৬৩৮ কোটি টাকা, বেড়েছে ৩৩%

ঈদ অফারে বিনামূল্যে মিনিস্টারের রেফ্রিজারেটর পেলেন আসাদুজ্জামান সুমন

সোনালী ব্যাংকে ‘বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব ও দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনাসভা

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ৭টি নতুন উপশাখার উদ্বোধন

স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের শ্রদ্ধা

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে কর্মসংস্থান ব্যাংকের শ্রদ্ধা

স্বাধীনতা দিবসে স্মৃতিসৌধে ইসলামী ব্যাংকের শ্রদ্ধা

স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে রূপালী ব্যাংকের শ্রদ্ধা

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :